দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাকে জমি দিতে প্রস্তুত রাজ্য ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি বর্তমান ভ্যাকসিন সংকটে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, প্রয়োজনে বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করুন ৷ কিন্তু দ্রুত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করুন ৷
গোটা দেশে প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ৷ মৃত্যুর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী ৷ এই অবস্থায় একমাত্র সমাধান ভ্যাকসিনেশন ৷ ইতিমধ্যে ৬০ ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার শুরু হয়েছে৷ অন্যদিকে ১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা এখনও শুরু করা যায়নি পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে ৷ একই কারণে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলিতে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন ৷ বিভিন্ন রাজ্য ভ্যাকসিনের দাবি করলেও তা দিতে পারছে না কেন্দ্র ৷ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অক্সিজেন আর ভ্যাকসিনের অভাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আমচিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
চিঠিতে দেশ ও রাজ্যের ভ্যাকসিনের সংকটের কথা তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি তাঁর আবেদন, “প্রয়োজনে বিদেশি নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করুন ৷ কিন্তু দ্রুত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করুন ৷” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনই একমাত্র হাতিয়ার । কিন্তু, দুঃখের বিষয় এই দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় আণুবীক্ষণিক । অথচ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ও দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে এখনই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন ৷” এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, “দেশি ও বিদেশি সংস্থাকে ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হোক ৷” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাকে জমি দিতে প্রস্তুত রাজ্য ৷”