দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন। দু’সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণও ঘোষণা করে দেবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে পুদুচেরিতে সরকার পড়ে গেল কংগ্রেসের। আসলে কংগ্রেস-ডিএমকে জোটের একের পর এক বিধায়কের ইস্তফার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোমবার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। নিজেদের পক্ষে কেবল ১২টি ভোটই পেয়েছে কংগ্রেসের জোট। স্পিকার ঘোষণা করেন, পুদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস। এরপরেই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন আস্থা ভোটের আগে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। সেখানেই বিজেপি তথা কেন্দ্রের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। যে যে বিধায়ক দল ছেড়েছেন, তাঁদেরও কটাক্ষ করেন। নারায়ণস্বামী বলেন, “বিধায়কদের সবসময় দলের প্রতি অনুগত থাকা উচিত। যে যে বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা কখনওই জনগণের মুখোমুখি হতে পারবেন না। কারণ মানুষ তাঁদের সুবিধাবাদী বলবে।”
এরপরই আস্থা ভোটের আয়োজন হয়। একাধিক বিধায়কের ইস্তফার পর পুদুচেরির বিধানসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৬। এর মধ্যেই এদিনের ভোটাভুটিতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট পায় ১২টি ভোট (সঙ্গে একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন)। বিপক্ষ পেয়েছে ১৪টি ভোট। এরপরই স্পিকার ভি নারায়ণস্বামীর আস্থা ভোটে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতবিও করে দেন। এরপরই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিলেন ভি নারায়ণস্বামী।
২০১৬ নির্বাচনে ৩০ আসনের পুদুচেরি বিধানসভায় ১৫টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। সেসময় জোটসঙ্গী ডিএমকের দুই বিধায়ক এবং এক নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন ভি নারায়ণস্বামী। বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেস পায় ৮টি আসন। এআইএডিএমকে জেতে ৪টি আসন। এমনিতে পুদুচেরিতে কোনওক্রমে সরকার চালাচ্ছিল কংগ্রেস। কিন্তু একসঙ্গে একাধিক বিধায়কের ইস্তফায় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলে। রবিবারও এক কংগ্রেস বিধায়ক এবং একজন ডিএমকে বিধায়ক পদত্যাগ করেন। তারপরই এদিনের আস্থা ভোটে হার নারায়ণস্বামীর।