দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের শহিদ দিবসের পর টিম পিকে বা আইপ্যাকের সমীক্ষা। ফের ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে বাধাদানের অভিযোগ। ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা চালাতে গিয়ে আটক হলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যরা। অভিযোগ, আগরতলায় একটি হোটেল থেকে আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্যকে বাইরে বেরোতে দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে
সেখানকার স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যে শাসকদল ভয় পেয়েই পুলিশ দিয়ে আইপ্যাককে তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে। বিষয়টি এ রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে জানানো হয়েছে বলে খবর।
এ বিষয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিংয়ের অভিযোগ, রুটিন তল্লাশির নামে রবিবার রাতে আইপ্যাক সদস্যদের প্রথমে একদফা হেনস্থা করে ত্রিপুরা পশ্চিম থানার পুলিশ। সোমবার সকালে যখন আইপ্যাক সদস্যরা হোটেল থেকে বেরোচ্ছিলেন তখনও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও আশিস বলেন, এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তাদের দলের তরফে পাল্টা কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
তাঁর কথায়, সকলেরই সমীক্ষা চালানোর অধিকার আছে। কিন্তু ওরা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যে সব কিছুতেই ভূত দেখছে। যার জন্য রাতে হেনস্থার পরেও সকালে বলছে বেরোনো যাবে না। ক্ষুব্ধ সভাপতির প্রশ্ন, রুটিন তল্লাশির নামে মানুষকে কি এভাবে সারাদিন আটকে রাখা যায়? গণতন্ত্রের নামে এটা একটা পরিহাস। গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিপুল আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। এরপর তাদের লক্ষ্য বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা জয়। প্রতিবেশী এই রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন আগামী ২০২৩-এ। কিন্তু তার আগেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে তারা। এরাজ্যে নির্বাচনের আগে যেমন সমীক্ষা করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই ত্রিপুরায় সমীক্ষা শুরু করছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। সেই কাজেই ত্রিপুরায় গিয়ে রবিবার আগরতলায় উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে ওঠেন আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্য। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের বাধাদানের অভিযোগ ওঠে। অবশ্য এবিষয়ে যেমন এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি যেমন পাওয়া যায়নি তেমনি আইপ্যাকের তরফেও সরাসরি কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এর আগে আগরতলায় শহিদ দিবস পালনের জন্য তৃণমূল কর্মীরা যখন ২১ জুলাই জমায়েত করছিলেন সেই সময় করোনা বিধি ভাঙার অভিযোগে গৌরাঙ্গনগর থেকে হঠাৎ করেই প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছিল পুলিশ। অভিযোগ ওঠে করোনার দোহাই দিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি বানচাল করতে চাইছে বিপ্লব দেবের সরকার। ফলে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে ততই এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘাত বাড়তে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।