দৈনিক সমাচার, স্পোর্টস ডেস্ক : রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ দল জিতলে নতুন করে লেখা হতো অনেক রেকর্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান। এদিন শততম টি-২০ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে একটি ট্যুইটও করেছিলেন। এক দিকে ইতিহাস। আর এক দিকে মুখরক্ষার লড়াই। রাজকোটে এমনই চাপা উত্তেজনা নিয়ে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নামেন রোহিত। দিনটি তিনি স্মরণীয় করেছেন ৮৫ রানের ইনিংসের মাধ্যমে।
রোহিতের সুপারহিট ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল্লির পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। টাইগারদের করা ১৫৩ রানের সংগ্রহ পেরিয়ে যেতে ভারতকে খেলতে হয়েছে মাত্র ১৫.৪ ওভার। উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৮ রান যোগ দলের জয় সুনিশ্চিত করে যান রোহিত-ধাওয়ান। আউট হওয়ার আগে ধাওয়ান ৩১ ও রোহিত করেন ৮৫ রান। শততম ম্যাচের ইনিংসটিকে ৬টি করে চার-ছক্কার মারে সাজান ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর আর কোনও উইকেটে না হারিয়েই মাত্র ১৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় রোহিতের সেনারা। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল ভারত।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাইম শেখ। ২১ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ২৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন লিটন দাস। এরপর দারুণ খেলতে থাকা নাইমও ওয়াশিংটন সুন্দরকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে যান। ৩১ বলে ৫ চারে তিনি করেন ৩৬ রান। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান গত ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহীম। তিনি করেন ৬ বলে ৪ রান। তাঁর উইকেটটি নেন চাহাল। একই ওভারেই সৌম্যও ফিরে গেলে ১০৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। ফলে শেষপর্যন্ত অল্প পুঁজিতেই থামতে হয় বাংলাদেশকে। ভারতের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন এই লেগস্পিনার
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন