দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে ইভিএম পাচার কাণ্ডে এবার দফায় দফায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। এমনকী এই ঘটনায় ইতিমধ্যেউ নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তোপ দেগেছেন টুইটারেও। যা নিয়ে তীব্র শোলগোল রাজনৈতিক মহল। এদিকে পাঁচ রাজ্যে ভোটের আবহেই একাধিকবার কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
এদিকে রবিবার মাত্র দুটি শব্দেই নির্বাচন কমিশনকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধালেন রাহুল। এদিন টুইটারে তিনি কেবল দুটি শব্দ- ইলেকশন “কমিশন” লেখেন। আর তাতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।সহজ কথায় ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই শব্দবন্ধের মাধ্যমে ভূমিকা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন রাহুল। আর পোস্টে রেখেছেন তার স্পষ্ট রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার ছাপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব ছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হলেও গণ্ডগোল বাধে বিকেলে। ওইদিন বিকেলে রাতাবারি কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন এক বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে মেলে। অসমের পাথরকান্দিতে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পলের স্ত্রীর গাড়িতে ইভিএম পাচারের একটি ভিডিয়ো করিমগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। অস্বস্তি বাড়ে কমিশনের।
যদিও পরবর্তীতে যাবতীয় বিতর্ক উড়িয়ে কমিশন জানায়, রাতাবারি কেন্দ্রের ভোটকর্মীরা ইভিএম মেশিন নিয়ে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় পথচলতি একটি গাড়িতে ইভিএম মেশিন ও ভোট সংক্রান্ত অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে জানা যায় ওই গাড়িটি আদপে বিজেপি প্রার্থীর।এই ঘটনায় ৪ জন পোলিং অফিসারকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়।
আর ঠিক এখানেই নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করে কংগ্রেস। রাহুলের প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশনের গাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে, বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম বহন করতে হবে? আর কোনও বিকল্প ছিল না? এই ঘটনায় গণতন্ত্রের অবস্থা কতটা করুণ হয়েছে তাই স্পষ্ট হয়েছে।” এদিকে অসমের রাতাবাড়ি আসনের ১৪৯টি বুথের ভোট পুনর্বিবেচনা করে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশও ইতিমধ্যেই দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।