দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ‛দ্য বিগমুন অভিযান’ দেখতে রাত জেগে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল আপামর দেশবাসী। প্রতিটি মানুষের বুক ঢিপঢিপ করছিল। কিন্তু অবতরণের কয়েক মিনিট আগে চাঁদের মাটি থেরে ঠিক ২.১ কিলোমিটার দূরত্বে ল্যান্ডার ‛বিক্রম’-এর সঙ্গে আচমকাই যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। অবতরণের কয়েক মিনিট আগে কী কারণে বাধা এল, এখনও পরিস্কার করে জানায়নি ইসরো। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন, কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ল্যান্ডার ‛বিক্রম’-এর থেকে সঙ্কেত পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপেক্ষা করছিলেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য। কাউন্টডাউনে চোখ গেছে বার বার। উত্তেজনা ও আগ্রহ ছিল বিশ্বের বহু দেশে। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় জনগণের পাশাপাশি সার্ক দেশগুলোর মানুষও অপেক্ষা করছিলেন বিস্ময়জাগানিয়া এই সাফল্যের সাক্ষী হওয়ার জন্য। সবার বুকজুড়েই টান টান উত্তেজনা কাজ করছিলো। উদ্বেগও ছিলো, কারণ প্রথমবারের ব্যর্থতা মনে আছে সবারই। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত কোনো মহাকাশ যান চাঁদের এতো দক্ষিণে যায়নি।
প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে প্রথম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় ছিল গোটা দেশ। তবে রাত ১.৫৫, সময়টা এল এবং চলে গেল, মিশন সফল হওয়ার কোনও বার্তা এল না। ‛বিক্রম’ যখন সিগন্যাল দিচ্ছিল না, সেই উত্তেজনার সময় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ভাষন দেন মোদী। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরপরই একটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট করে তিনি বলেন, ভারত তার বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত। এদিন রাতে ইসরোতে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করেননি প্রধানমন্ত্রী। আজ সকাল আটটার দিকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।