Friday, November 22, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

তবলীগের পর নিশানায় জামাআতে ইসলামী হিন্দ! উত্তাল বিজেপি শাসিত অসম

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার গুয়াহাটি : ত্রিপুরার কিছু অসহায় যুবকদের পাশে দাঁড়িয়ে সমলোচনার মুখে পড়েছে জামাআতে ইসলামী হিন্দ। যার জেরে গোটা অসমে জামাআতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। এই তালিকায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি কিছু বৈদ্যুতিন মিডিয়াও ভুলভাল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার ৫ জন যুবক গত মাসের ২৪ তারিখে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে অসমে প্রবেশ করেন। তার পর অসমের পুলিশ তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী হোটেল বিজিতাতে আশ্রয় নেয় মনোয়ার হুসেন সহ আরও ৪ জন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুয়াহাটিতে অবস্থানরত ত্রিপুরা জামাআতে ইসলামীর দায়িত্বশীল আব্দুল বাসিতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

মৌলানা আব্দুল বাসিত তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য হোটেল থেকে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ২ দিন থেকে অভুক্ত ওই পাঁচ যুবককে খাওয়ানোর জন্য গুয়াহাটির হেদায়েতপুরের জামাআত অফিসে প্রবেশ করতে যান। এসময় স্থানীয় কিছু লোক তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ও স্থানীয় লোতাশিল থানায় খবর দেন। লতাশীল থানার পুলিশ এসে ওই ৫ জন যুবক সহ মৌলানা আব্দুল বাসিত ও জামাআতের অন্য কর্মকর্তাদের থানায় নিয়ে যায়।

জামাআতের অসম জোনের সম্পাদক আহমদ আলী পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে তরঙ্গ বার্তাকে জানান, শেষ পর্যন্ত পুলিশের অজ্ঞাতে আশ্রয় দানের অজুহাতে মৌলানা আব্দুল বাসিতের নামে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ত্রিপুরার পাঁচ যুবক সহ জামাআতের কর্মকর্তাদের পুলিশ কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। তবে গ্রেফতারের কোন খবর পাওয়া যায়নি , অন্য দিকে এই ঘটনাটিকে কিছু বৈদ্যুতিন প্রচার মাধ্যম অতিরঞ্জিত ভাবে প্রচার করে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে জামাআত নেতা আহমদ আলী অভিযোগ তুলেছেন।

উল্লেখ্য, তবলীগের জামাতের পর জামাআতে ইসলামী হিন্দকে নিয়েও একই ধরনের প্রচার চালাচ্ছে অসমের কিছু মিডিয়া। অথচ ত্রিপুরার ৫ জন যুবক গত মাসের ২৪ তারিখে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে অসমে প্রবেশ করেন। অসমের পুলিশ তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। সে হিসেবে ৮ অথবা ৯ তারিখেই তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে শেষ হয়েছে। তাঁদের খাবার ও টাকার সমস্যা মেটাতেই পাশে দাঁড়িয়েছিল জামাআত।

 

অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।

আমাদের খবরাখবর ভালো লাগলে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে পাশে থাকুন

Leave a Reply

error: Content is protected !!