নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত হিন্দু কন্যাকে গণধর্ষণ করে ও তাঁর জিভ কেটে ফেলা হয়। সেই নির্যাতিতার লাশ যোগীর নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ-প্রশাসন পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে জোর করে নিজেরাই দাহ করে দেয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে পুলিশ ও প্রশাসন নির্যাতিতার বাড়ির সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা শুরু করে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ ও নাগরিক সমাজ সোচ্চার হয়েছে। আওয়াজ উঠেছে দোষীদের কঠোর শাস্তির।
জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে আজকে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধন, পথসভা, জেলা শাসক, বিডিওকে মেমরেণ্ডাম প্রদানসহ জনমত গঠন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এই বিষয়ে জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি আব্দুর রফিক বলেন, এই লজ্জাজনক হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জামাআত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যেখানে একজন দলিত নারীকে গণধর্ষণ করে নির্লজ্জ্ব ভাবে জিভ কেটে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসনের কাজ ছিল জনগন ও নারীদের নিরাপত্তা প্রদান করার, সেখানে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার তা না করে অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য দের মুখ খুলতে বাঁধা প্রদান করা, গণমাধ্যমকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার মত ঘটনায় যোগীর প্রশাসনের মানবতাবিরোধী ও স্বৈরাচারী নির্লজ্জ্ব মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।”
মাওলানা আব্দুর রফিক আরও বলেন, “সারাদেশে নারীদের সাথে ধর্ষণ, অসভ্যতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মৌলিক কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া ও অপরাধীর শাস্তি সুনিশ্চিত না হওয়া।”
তিনি বলেন, ইসলামসহ সকল ধর্মীয় বিধান এক্ষেত্রে কঠোর বিধান প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কোনও সাজা হতে পারে না। মাওলানা আব্দুর রফিক সেই সঙ্গে জানান, ধর্ষণ বন্ধের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি মদ, নেশাদ্রব্য, অশ্লীল চলচ্চিত্র সহ যাবতীয় মাধ্যম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।