নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে দুর্বৃত্তরা। এসময় বেশ কিছু জায়গায় মন্দির, হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। তবে এমন ঘটনার পরপরই দেশটির বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিতে দেখা যায় জামায়াত-শিবির কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ সাধারণ মানুষদের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির (কেন্দ্রীয় সভাপতি) ডা. শফিকুর রহমান।
পরিদর্শন শেষে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয়স্থান ও বসতবাড়িতে হামলার নিন্দা জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “কোনও দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অতীত জামায়াত বা শিবির কখনই ভিন্ন ধর্মের মানুষের উপসনালয়ে আঘাত করেনি, বরং কোনও দূর্বৃত্ত এমন কাজ করলে তাদের জানানোর আহ্বান জানান জামায়াতের আমীর। হুশিয়ারি দেন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শাস্তি প্রদানের।
মন্দির পরিদর্শনের পর জামায়াতকে দেশের কাণ্ডারী উল্লেখ করে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, “এ দেশ আমার আপনার সবার, সবাই এদেশেরই নাগরিক। সুখে দুঃখে সবসময় জামায়াতকে পাশে চান হিন্দু নেতারা।
মন্দির পরিদর্শনকালে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। তিনি বলেন, “হিন্দু নির্যাতন নিয়ে দ্বৈতনীতি দেখা যায়। কোনও হিন্দু আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে যখন জামায়াত নিধন করতে যায় তখন সে আওয়ামী লীগ কর্মী। কিন্তু আহত কিংবা নিহত হওয়ার পর পরই তাকে সংখ্যালঘু বানিয়ে দেওয়া হয়।” তিনি জানান, মানুষ হিসেবে সকল মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অতীতে বিভিন্ন জাতীয় দূর্যোগের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে জামায়াত।