লখনউ, ২৪ নভেম্বর: দুর্নীতি ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ থেকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল (বিআরডি) কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাফিল খানকে সম্পূর্ণ রেহাই দিয়েছিল তদন্ত কমিটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্প্রতি তাঁকে বরখাস্ত করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ইউপি সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাফিল।
ডাঃ খান জানিয়েছেন, বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের দাবি আমার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি অভিযোগ বহাল রয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এমনকি আদালতও জানে শিশুদের জীবন বাঁচাতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব।’’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ৬৩টি শিশু অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিল। সরকার অক্সিজেন সরবরাহকারীদের বিল না মেটানোয়, তারা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অক্সিজেনের অভাবে শিশুগুলির অবস্থা সঙ্কটজনক হলে ছুটির মধ্যেও হাসপাতালে ছুটে আসেন কাফিল।
সেদিন পরিচিত লোকের কাছ থেকে শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে এসে শিশুগুলিকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি কাউকে। এর পরে সে দিন ডিউটিতে থাকা সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, ধর্মের কারণে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয় কাফিলকে। সাসপেন্ড হয়েও হাসপাতালে ঢোকার অপরাধে আর এক দফা তাঁকে সাসপেন্ড করে সরকার, যা আদালত খারিজ করে দেয়।