দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর কার্যকারিণী সমিতির প্রথম বৈঠকে বসেছে বঙ্গ-বিজেপি ৷ আর সেখানে অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ৷ এমনকী নেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি এই সমিতির সদস্য নন ৷ কিন্তু তাঁকে এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ পাঠানো হয় ৷ তাঁকে এদিন ভার্চুয়ালি উপস্থত থাকার জন্য লিঙ্কও পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি তার পরও বৈঠকে অংশ নেননি ৷
এদিনের বৈঠকের শুরুতে ভাষণ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন দলের জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ৷ ফলে এমন একটি বৈঠকে কৈলাস কেন অনুপস্থিত, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে ৷ কারও কারও প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্যের পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরছেন কৈলাস ? কারণ, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির অন্দরে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এই নেতা ৷ তাঁর সঙ্গে মুকুলের সম্পর্কের কথা তুলে কলকাতায় পোস্টারও পড়ে ৷
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, আজ বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও দেওয়া হয় । শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ায়, বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী তিনি দিলীপ ঘোষের মতো সমান গুরুত্ব পাচ্ছেন এই বৈঠকে ৷
সূত্রের খবর, বিজেপির বৈঠকে যে রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হচ্ছে, তাতে দিলীপ ঘোষের নাম একবার, শুভেন্দু অধিকারীর নাম তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে । রাজনৈতিক প্রস্তাবে যে অভিনন্দন বার্তা, তাতে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে এক পঙ্ক্তিতে অভিনন্দন জানানো হয়েছে ৷ লেখা হয়েছে, “নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দিলীপ ঘোষকে এবং প্রধান বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে অভিনন্দন ৷”
এর পর আরও দু’বার শুভেন্দু অধিকারীর নাম এসেছে । আগামিদিনে বিধানসভায় বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির ভূমিকা এই কলামে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত কলামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করা হয়েছে ।