দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের নির্বাচনে অমিত শাহ ২০০ আসনের টার্গেট দিয়েছিল বঙ্গ–বিজেপিকে। আর তার নেতৃত্বে ছিলেন বেশ কয়েকজন। দায়িত্ব বর্তেছিল বঙ্গ–বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের উপর। কিন্তু টার্গেট স্পর্শ করা তো দূরঅস্ত, অর্ধেক আসনও জোগাড় করতে পারেনি বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় একুশের বিধানসভায় অনেক খারাপ ফলাফল হয়েছে বিজেপির। যার জেরে এখন অনেক কেন্দ্রীয় নেতা এখান থেকে নিজ গৃহে পাড়ি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার পদ খোয়াতে পারেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলে সূত্রের খবর।
একুশের নির্বাচনের অনের আগেই বাংলার দায়িত্বে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন জয়ের পর থেকেই যেভাবে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে তিনি দলে ঢুকিয়েছেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার পর সাংগঠনিক একটা রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আর কোপ পড়তে কৈলাসের উপরই। তবে বিজেপি নেতাদের কেউই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইছেন না। যদিও সূত্রের খবর, পর্যবেক্ষকের পদ থেকে কৈলাসের অব্যাহতি প্রায় নিশ্চিত।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের এই প্রবীণ নেতা সরে গেলে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী পর্যবেক্ষক কে হবেন? গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব এবং পাঞ্জাবের তরুণতম সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ, এই দুটি নামের মধ্যে একটি বেছে নেওয়া হবে। এই ভূপেন্দ্র যাদবই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে আদি বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা রাজ্য সভাপতি পদেও বদল চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আবেদন জানিয়েছেন। যদিও তা নিয়ে এখনও কোনও ফয়সালা হয়নি।