দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনা টিকা নেওয়ার পর হিতে বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। যার পরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বিতর্কের মাঝেই বড়সড় ঘোষণা করল ভারত বায়োটেক। নিরাপদ নয় কোভ্যাকসিন! সে সব মহিলারা গর্ভবতীরা যাঁরা সন্তানদের স্তন্যপান করাচ্ছে তাঁদের কোভ্যাক্সিনের ডোজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিচ্ছে এই সংস্থা৷
এছাড় যাঁদের জ্বর রয়েছে বা রক্তপাতজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও এই অ্যান্টিডোট নিতে নিষেধ করা হয়েছে৷ ভারত বায়োটেক তাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল এফিশিয়েন্সি বা কার্যকারিতা প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ এসে পৌঁছয়নি৷ এখনও তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে৷ এছাড়া এখন ভ্যাকসিন নেওয়ার মানে এই নয় যে করোনা সংক্রান্ত বিধিগুলি না মেনে চললেও চলবে৷ ভারত বায়োটেকের ফ্যাক্টশিটে লেখা হয়েছে, যদি কারওর অতীতে কোনও অ্যালার্জিঘটিত সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে এই ভ্যাকসিন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল৷
এছাড়া প্রবল জ্বর, রক্তপাত বা রক্তের অন্য কোনও সমস্যা থাকলেও এই ভ্যাকসিন না নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ ওষুধ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে৷ যাঁরা গর্ভবতী বা স্তন্যপান করান তাঁদের অন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷
ফ্যাক্টশিটে প্রতিটি ভ্যাকসিন গ্রহীতাকে তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মেডিক্যাল অফিসারদের অবহিত করতে বলা হয়েছে৷ ভারত বায়োটেকের তরফে এও জানানো হয়েছে ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ চার সপ্তাহ অন্তর দিতে হচ্ছে৷
তাহলেই প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে সক্ষম৷ কোভ্যাকসিন ভারতে করোনা মোকাবিলায় জরুরিকালীন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কোভ্যাকসিন SARS-CoV-2 ভ্যাকসিন হিসেবে পরীক্ষা চালিয়েছে৷ এর ট্র্যাক রেকর্ড বলছে ৩০০ মিলিয়নের বেশি ডোজের ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে৷
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি একসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছে৷ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে ভারত বায়োটেক৷ বিশ্বে যতগুলি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি৷