দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। অথচ এখনও বাম–কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে জট খুলল না। রবিবার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক শেষেও আসন বন্টন নিয়ে রফাসূত্র অধরা রইল। সূত্রের খবর, কংগ্রেস ১২০–১৩০টি আসন দাবি করেছে। এই দাবির সঙ্গে সম্মত হতে পারেননি বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। দু’পক্ষ আরও বেশ কয়েকবার নিজেদের মধ্যে কথা বলবে বলে খবর। চলতি মাসেই আসন রফা সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি’র মনোজ ভট্টাচার্য ও সিপিআইয়ের স্বপন বন্দোপাধ্যায় ছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদিন আলোচনা শেষে আসন রফা নিয়ে দর কষাকষি চলল দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু শেষমেশ ফল কিছুই বেরোল না।
দু’পক্ষই জানান, জোট রফা সম্পন্ন করতে আরও বেশকিছুটা সময় লাগবে। আরও বেশি করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে হবে। বিমান বসু জানান, দু’পক্ষের মধ্যে কোনও তিক্ততা ছাড়াই আসন রফা হবে। অধীর চৌধুরীর কথায়, এটা একটা প্রক্রিয়া। বামফ্রন্টের শরিকরা নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করবে। কংগ্রেসও নিজেদের মধ্যে কথা বলবে।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ১৩০ আসনের দাবি করা হয়েছিল। এমন দাবি মেনে নেয়নি বাম নেতৃত্ব। ফের ২৫ জানুয়ারি আলোচনা হবে দু’পক্ষের। তবে সেদিন আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী থাকবেন না। ফলে সেদিনও আসন রফা হওয়ার আশা কম। তবে চলতি মাসেই যে বাম–কংগ্রেসের আসন রফা হয়ে জোটের রাস্তা সুগম হবে, তার ইঙ্গিত রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদা ও পুরুলিয়া জেলার মূলত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। আর এই জেলাগুলি নিয়েই যাবতীয় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। গতবার আসন ছিল ৯২। এবার আরও প্রায় ৩০টি বেশি আসন চেয়েছে কংগ্রেস। যা মেনে নিচ্ছে না বাম নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, আসন রফার সূত্র খুঁজতে বসে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। মূলত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও পুরুলিয়া এই তিন জেলা নিয়েই সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেস গতবারের তুলনায় ৩০টিরও বেশি আসন দাবি করায় তা মানতে চাইছে না বাম নেতৃত্ব। বাম নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র বেরিয়ে আসবে।