দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দিন যত গড়াচ্ছে ততই আরও যেন জোরদার কামড় বসাচ্ছে মারণ করোনা। এদিকে রাজ্যে রাজ্যে টিকা সঙ্কটের মাঝেই করোনা টিকা প্রদান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলল মহারাষ্ট্র সরকার। যা নিয়ে জোর চর্চা করা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে করোনা টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কেন্দ্র, ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে সরব হয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলেরাও।
এদিকে গোটা রাজ্যে জুড়েই ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে সংক্রমণ পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আজ ফের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। থাকবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও। মহারাষ্ট্রে ফের পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা হবে কি না, বৈঠকে আলোচনা হবে তা নিয়েও। সূত্রের খবর, করোনা রুখতে ৮ থেকে ১৪ দিনের টানা লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩৪৯ জন। এমনকী গোটা দেশে গড়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণের প্রায় এক তৃতীয়াংশই এখন মহারাষ্ট্রের। বর্তমানে এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৭ হাজারের কিছু বেশি।
এদিকে রাজ্য জুড়ে টিকা সঙ্কটের কথা এর আগেই কেন্দ্রকে জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু তারপরের কেন্দ্রের বিশেষ হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। এদিকে টিকার অভাবে পুনে, বান্দ্রা, মুম্বই সহ একা একাধিক জায়গায় থমকাচ্ছে টিকাকরম প্রক্রিয়া। এদিন দলীয় মুখপত্র সামানাতেও টিকা বন্টনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে শিবসেনা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
শিবসেনার অভিযোগ টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই আগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ তুলে উদ্ধবদের সাফ প্রশ্ন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী না থাকার জন্য কী টিকা পাবে না মহারাষ্ট্র ? এমনকী এই অভিযোগ তুলে মোদীর টিকা উৎসবকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অন্যদিকে করোনা ঠেকাতে রাজ্যে যে লকডাউন ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই সেই কথাও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সামানাতে।