দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ তারিখ বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারে আহত মইদুল ইসলামের মৃত্যু হল হাসপাতালে। ওই বাম যুবকর্মীর মৃত্যুকে পরিকল্পিত খুন বলে অভিযোগ করলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। জানা গেছে, মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে জখম হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে দাবি বাম শীর্ষ নেতৃত্বের।
বাম নেতা ফুয়াদ হালিমের অভিযোগ, মৃত বাম যুব কর্মীর দেহের পেটে, পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাঠির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি, জল জমে ফুসফুসেও এবং প্রসাবের সঙ্গেও হচ্ছিল রক্তপাত। কিডনি অকেজো হয়েই সকালে ক্যামাক স্ট্রিটের বেসরকারি নার্সিংহোমে ঘটে এই মর্মান্তিক মৃত্যু।
বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘পরিকল্পিত খুন’ পুলিশের তরফে সেদিন অন্যায় ভাবে ঘিরে ধরে তাঁদের কর্মীকে লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করা হয় যার ফলে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক মৃত্যু।
বাম যুব কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, বাম যুব কর্মীর মৃত্যু বৃথা যাবে না, এই মর্মান্তিক মত্যুর ঘটনায় বামফ্রন্টের সঙ্গে মিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরস্বতী পুজোর পর পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হবে।’ মৃত DYFI কর্মী ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ময়নাতদন্ত করবেন ৩ চিকিৎসক। ওসি হোমিসাইড থাকবে। ইতিমধ্যে এসে পৌঁছান মইদুলের ভাই। মৃত DYFI কর্মী ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ময়নাতদন্ত করবেন ৩ চিকিৎসক। ওসি হোমিসাইড থাকবে।