দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার গো-হত্যা করলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন জারি করেছে। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মন্ত্রীসভায় ‛গো-হত্যা প্রতিরোধ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ – ২০২০’ নামের নতুন এই আইন পাস হয়েছে। মন্ত্রিসভায় গৃহীত ‛গো- হত্যা প্রতিরোধ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ – ২০২০’ অনুযায়ী, রাজ্যে কেউ গরু জবাই করলে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, কেউ যদি গবাদিপশুর অঙ্গহানি করে তার জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। যোগী সরকার রাজ্যে গরু জবাই সম্পূর্ণ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইন করেছে। রাজ্যটিতে ৪ কোটিরও বেশি মুসলিম বাস করে, এই আইনের ফলে তাদের খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রায় বদল আসবে।
ভারতে আরও অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে গরু জবাইয়ের বিষয়ে কঠোর আইন রয়েছে। আবার এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে গরু জবাইয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। এই সমস্ত আইন ভারতীয় সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে রাজ্য আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষি ও পশুপালনের উন্নতির চেষ্টা করবে বলা হয়েছে। তাদের উন্নতির জন্য গরু, বাছুর এবং অন্যান্য দুধের পশুর হত্যা রোধ করার জন্য রাজ্য বিশেষভাবে আইন প্রণয়ন করবে। যদিও এই অনুচ্ছেদে কোনও রাজ্যকে এ সংক্রান্ত আইন তৈরি করার জন্য কোনও বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ অনুসরণ করে কিছু রাজ্য গবাদিপশু হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই।
ভারতের মোট ১১ টি রাজ্য রয়েছে যেখানে গরু জবাইয়ের উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১০ টি এমন রাজ্য রয়েছে যেখানে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা নেই। একই সাথে, এমন ৮ টি রাজ্য রয়েছে যেখানে গরু জবাইয়ের উপরে আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরায় গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও আইন নেই। মণিপুরে গরু জবাইয়ে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু মণিপুরে প্রকাশ্যে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তবে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, লাক্ষা দ্বীপ, অরুনাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরায় গরু জবাইয়ের উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই।