দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজির পরাক্রম দেশের সর্বত্র পালিত হচ্ছে। আজ দুঃখ হয়, নেতাজির দেখানো পথে না হেঁটে মমতা বহিরাগত বলেন। এটা নেতাজির অপমান, দেশের সংবিধানেরও অপমান। দেশের সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভূমিপুত্রই হয়েছেন। ২ মে-র পর বাংলাতেও ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিজেপির এত কর্মীকে খুনের পরেও কেন এত রাগ দিদি? সিন্ডিকেট-তোলাবাজির রাজ চালানোর পরেও কেন এত রাগ দিদি। বালি-কয়লা কেলেঙ্কারির পরও কেন এত রাগ দিদি।
মোদী বলেন, দিদি যতই নিজেকে কুল বলুন, আপনার কাজেই সব স্পষ্ট। ছাপ্পা ভোট দিতে না পেরে কমিশনকে, বাহিনীকে নিশানা করছেন। ১০ বছর আগে এই কমিশন, বাহিনীকেই আপনার ভাল লাগত। বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। শুনেছি তৃণমূলের মধ্যে গভীর আলোচনা চলছে। নন্দীগ্রামে দিদির দাঁড়ানো খুব বড় ভুল হয়েছে। নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত জেনে অন্য আসনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু দু’টি আসনেই হারলে তৃণমূলের পথ চলাই সমস্যা হয়ে যাবে। মমতা সঠিক বুদ্ধি শোনেন না, ভুল বুদ্ধি শোনেন। এখন দিদির দল বলছে বারাণসী থেকে ভোটে লড়বে। এর থেকে দু’টি কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে। প্রথমত, দিদি বাংলায় হার মেনে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, দিদি বাংলার বাইরে জায়গা খুঁজতে শুরু করেছেন। আমার বারাণসীর মানুষ আপনাকে বহিরাগত বলবেন না। আমার কাশীর মানুষের মন বাংলার মানুষের মতই উদার। আপনার কাছে অনুরোধ বারাণসীর মানুষের উপর রাগ করবেন না। আমফানের সময় কেন্দ্র টাকা পাঠিয়েছে, তৃণমূল লুঠ করেছে। চাল, সব্জি পাঠিয়েছে, গরিবের কাছে পৌঁছয়নি। দিদি গরিবের রেশন লুঠ করেছেন। দিদি আপনি টিএমসির গুন্ডাদের সামলান। ওদের বলুন এখানে মোদী এসেছে, ওদের গুন্ডাগিরি চলবে না। বাংলা চায় না তৃণমূলের গুন্ডাদের অত্যাচার। তৃণমূলের সব প্রকল্পের লাভ পায় তৃণমূলের ক্যাডাররা। কাটমানি মিলবে না বলেই তৃণমূল সরকার আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে জোড়েনি। বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে, সোনারপুরের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর।