দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মোদী সরকারের কৃষক বিরোধী নতুন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে গত তিনদিন ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। সময় যত পেরোচ্ছে আন্দোলন ততই আরও জোরদার হচ্ছে। এবার হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের কৃষকরাও। যার ফলে রাজধানীর পথে তীব্র থেকে তীব্রতর কৃষক আন্দোলন। আর এই আন্দোলনই হলে পারে মোদী সরকারের পতনের কারণ। যদিও মোদী সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছে।
গতকাল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের ‘লং মার্চ’ বিস্তর গোলমালের পর প্রশাসন কৃষকদের অনুমতি দেয় দিল্লিতে প্রবেশের। দিল্লির বুরারি মাঠে কৃষকদের জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরে শনিবার সকাল থেকে খবর আসে, পঞ্জাবের ফতেগড় সাহিব থেকে বিপুল সংখ্যায় কৃষকরা দিল্লি সীমান্তর দিকে যাচ্ছেন। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই কৃষকরা জমায়েত হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই এবার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে পঞ্জাবের কৃষকদেরও।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন কৃষক ইতিমধ্যে দিল্লির বুরারি মাঠে পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক কৃষি আইন সংশোধনী বাতিল করার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের অংশ হিসাবে বুরারি মাঠেই জমায়েত হওয়ার কথা দেশের বিভিন্ন অংশের কৃষকদের। সেইখানেও ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা বলেছেন, ওই মাঠে তাঁরা ততক্ষণ জমায়েত করবেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের কথা সরকার শোনে। বুরারি মাঠে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা জমা হয়ে জানিয়েছেন, আরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকদের দল এই মাঠে এসে জমায়েত হবেন। তাঁরাই জানিয়েছেন রাজস্থানের কৃষকরাও দিল্লি সীমান্তে জমায়েত করতে শুরু করেছেন।সূত্রের খবর, উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। জমায়েত বিপুল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থাকে এক প্রতিবাদী কৃষক জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ছ’মাসের রেশন নিয়ে চলেছি। যাতে ওই মাঠ থেকে আমাদের উঠতে না হয়। যতক্ষণ না কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা ওখানেই বসে থাকব।’’