দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সেই ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের পর কংগ্রেসমুক্ত ভারত গঠনের আহ্বান করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে অনেকখানিই সফল মোদী-শাহ জুটি। ২০১৯ সালেও লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এই ‘কংগ্রেসমুক্ত’ শব্দ নিয়ে ‘গোঁসা’ রাহুল গান্ধীর। কেরলের জনসভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রশ্ন তুললেন, ‘শতাব্দীপ্রাচীন দলকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে বিজেপি নেতাদের। সিপিএমকে নিয়ে নেই কেন?’
বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে কংগ্রেস। কেরলে আবার তারা যুযুধান। ওই রাজ্যে ভোটপ্রচারে গিয়ে রাম-বাম যোগসাজশের ইঙ্গিত দিলেন রাহুল। তাঁর কথায়,’প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত বলেন, কংগ্রেসমুক্ত ভারত। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুরু করেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বলেন কংগ্রেসমুক্ত ভারত। কই সিপিএমমুক্ত ভারতের কথা ওঁর মুখে আসে না? কখনই উনি বলেন না। যাই হোক, ওঁর বামপন্থীদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। খালি কংগ্রেসকে নিয়েই যত মাথাব্যথা।’
কেরলে হিংসার জন্যেও বামপন্থীদের কাঠগড়ায় তোলেন ওয়ানাডের সাংসদ। বলেন,’দেশের ঐক্যের জন্য বিপজ্জনক আরএসএস। তাদের মতো সমাজে বিভাজন ছড়ায় বামেরা। হিংসা ও ক্রোধের রাজনীতি করে তারা। কংগ্রেস কখনও ঘৃণা ছড়ায়নি। সবসময় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। কংগ্রেস কর্মীদের হত্যা করছে বামেরা। কংগ্রেস কর্মীরা কখনও কাউকে হত্যা করেনি। এটাই বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের ফারাক।’
বাংলায় সিপিএম ও তাদের সহযোগী দল, কংগ্রেস ও আইএসএফের জোট সংযুক্ত মোর্চা ভোটে লড়ছে। কেরলে আবার বাম-কংগ্রেস সম্মুখ সমরে। আগামী ৬ এপ্রিল সে রাজ্যে ভোট। তার আগে রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্য কি বাংলায় প্রভাব ফেলবে? প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে।