দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পঞ্জাবের মালেরকোটলা। এই প্রদেশের একমাত্র মুসলিম প্রধান শহর এবং এলাকা। দেশভাগের পরও একমাত্র এই এলাকা থেকেই মুসলিমরা গণহারে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাননি।
মালেরাকোটলা শহরের হাসপাতাল ও কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্রে মহারাষ্ট্রের শিখ
তীর্থস্থান হাজুর সাহিব নান্দেদ থেকে ফেরা তীর্থযাত্রী করোনা রােগীদের চিকিৎসায় কসুর করছেন না ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা। মুসলিম অধ্যুষিত মালেকাট্টলা এলাকায় একটিও কোভিড-১৯ কেস নেই। যে ৩৫ জন করােনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে এখানে, তারা সবাই নান্দেদ থেকে ফেরা তীর্থযাত্রী। তাদের পৃথক আইসােলেশন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
এই হাসপাতালের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার জসবিন্দর সিং বলেন, ‛কোভিড-১৯-এর বিরদ্ধে আমরা ১৫-২০ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। মুসলিম হওয়ায় এঁদের অধিকাংশই উপবাস করছেন। তারপরেও রােগীদের সেবায় তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রােজ ৫০০-৬০০ জনের স্ক্রিনিং করছেন এরা।
এই দলেরই এক কোভিড যােদ্ধা ডাক্তার সামিন জাহরা পুরাে বিষয়টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অতিমারির শুরু থেকে তিনি
আইসােলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত এবং রােগীদের স্ক্রিনিং করে চলেছেন পূর্ণ উদ্যমে। এরই ফাঁকে নিজের যমজ কন্যার দেখভালও করছেন। ডাক্তার জাহরা বলেছেন, “আমি ইবাদত মনে করেই কাজ করি। রােজা রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার ও সহকর্মীদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।”
এই সঙ্গে তিনি যােগ করেন, কিন্তু এর পরেও তৃপ্তি অনুভব করি এই ভেবে যে, আমি এমন এক সময়ে মানুষকে সেবা করতে পারছি যখন তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন আমাদের পরিষেবার। সন্ধ্যায় আমাকে কাজ করতে হয়, তার ফলে ঠিকমতাে ইফতার করতে পারি না। কিন্তু এটা আমাদের কাজের অংশ।
হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক
ডাক্তার বিলালের মতে, রােজা করে রােগীদের এই যে সেবা করছি, এতে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পাবাে। কেননা রমযান রহমত ও সৌভাগ্যের মাস। তিনি আরও বলেছেন, ‛এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমরা শুধু তৃপ্তই নয়, সম্মানিত বােধ করছি।’