দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পশুদের উপর নির্মম অত্যাচার প্রতিরোধী আইনের ২৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী পশু হত্যার যে আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলি অপরাধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ মুসলিমদের হালাল পদ্ধতিতে মাংস কাটা এবং হিন্দুদের ঝটকা পদ্ধতিতে মাংস কাটার প্রথাকে অপরাধের বাইরেই রাখা হয়েছে।
ওই আইনকেই শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল অখণ্ড ভারত মোর্চা নামের একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন। তারা দাবি করে, ঝটকা পদ্ধতিতে এক কোপেই জীবন শেষ হয়ে যায় পশুর। কিন্তু হালাল পদ্ধতিতে যন্ত্রণা পেয়ে মরতে হয়। হালালের নামে এই যন্ত্রণাদায়ক হত্যা চলতে দেওয়া যায় না।
কিন্তু তাদের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নাক গলাতে পারে না আদালত। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী বলেন, ‘‘কে নিরামিষ খাবেন আর কে আমিষ খাবেন, তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। যাঁরা হালাল করা মাংস খেতে চান, খেতে পারেন। যাঁরা ঝটকা মাংস খেতে চান, খেতে পারেন।’’