Wednesday, November 20, 2024
সম্পাদক সমীপেষু

আল্লামা ইকবাল ও কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যে নবীপ্রেম

ড. আবুল কালাম

কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সম্পাদক, সাংবাদিক, সৈনিক, ইমাম, মুয়াজ্জিন, রুটি কারিগর, বাদক ও সংগঠক বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন। কবির রণসংগীত যেমন আমাদের সংগ্রামী চেতনাকে আন্দোলিত করে তেমনি তার ইসলামী কাব্য আমাদের আধ্যাত্মিক রসদ যোগায়। তাঁর শক্তিশালী কলমের অগ্রে ইসলামি জ্ঞান বিজ্ঞান একেবারে ছাড়াছড়ি। ইসলামের প্রতি তার গভীর অনুরাগের কারণেই তিনি ঝুঁকে পড়েছিলেন কাব্যের মাধ্যমে ইসলাম চর্চায়। কাব্যকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে তাঁর যুক্তি ছিল গদ্য কণ্ঠস্থ হয় না, সুতরাং ইসলামি জ্ঞান বিজ্ঞানকে যদি সহজ পদ্যের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়, তাহলে তা অধিকাংশ মুসলমান ও প্রচুর বালক-বালিকা অনায়াসে আত্মস্থ করতে পারবে। এই কারণেই তিনি নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, ঈদ, কোরবানী, মহররম, রবিউল আউয়াল ও ইসলামী কৃষ্টি কালচার নিয়ে সাড়া জাগানো কালজয়ী ইসলামি গান, গজল, হামদ ও নাত-এ-রাসূল (সঃ) রচনা করেছেন। রসুলুল্লাহ (সঃ) কে নিয়ে তিনি শতাধিক নাত-এ-রাসূল লিখেছেন। আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ (সঃ) এর প্রশংসায় রচিত এই হামদ ও নাতগুলির জন্য মুসলিম সমাজ তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

আল্লামা ইকবাল ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম প্রখ্যাত চিন্তাবিদ ও ইসলামী চিন্তা ধারার সার্থক ভাষ্যকার। তিনি একাধারে ছিলেন কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, চিন্তানায়ক ও ইসলামী জ্ঞান- বিজ্ঞানে সুপণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। ইকবালের প্রাথমিক শিক্ষার পর্ব সমাপ্ত হয় শিয়ালকোটের সুবিখ্যাত পন্ডিত শামসুল উলামা মীর হাসান’র তত্তাবধানে। মীর হাসান ইকবালের কাব্য প্রতিভার আভাস পেয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেন। শুরু হয় ইকবালের কাব্যচর্চা।

ইকবাল প্রধানতঃ উর্দু ও ফার্সী ভাষায় কাব্যচর্চা করে খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর উর্দু কাব্যগ্রন্থগুলি হল- শেকওয়া, জওয়াবে শেকওয়া, বাংগে দারা, বালে জিব্রীল, জরবে কলীম। আর ফার্সী ভাষায় রচিত কাব্য গ্রন্থ হলো ৭টি – ‘পয়ামে মাশরিক’, ‘আসরারে খুদী,’ ‘রমুযে বে-খুদী’, ‘যবুরে আযম’, ‘জাভীদনামাহ’, ‘পসচে বায়দ করদ আয় আকওয়ামে শরক্ক’ ও ‘মুসাফির’। একখানা গ্রন্থ ‘আরমগানে হেযায’ – উর্দু ও ফার্সী ভাষা মিশ্রিত।

তাঁর বিখ্যাত ‘তারানা’ “চীন ও আরব হামারা, হিন্দুসতা হামারা, মুসলিম হ্যায় হাম ওয়াতান হ্যায় সারা জাহা হামারা” (‘চীন আমার, আরব আমার, ভারতও আমার নয়কো পর, জগত জোড়া মুসলিম আমি, সারাটি জাহান বেঁধেছি ঘর’) সারা ভারত বর্ষে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর ফার্সি ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইকবাল তাঁর ধর্মীয় ও ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত। নবীপ্রেমের অনেক ক্ষেত্রে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও মহাকবি ড. আল্লামা ইকবালের মধ্যে গভীর সাদৃশ্য পরিলিক্ষত হয়। আল্লামা ইকবাল বলেন ‘আল্লাহর প্রেম-ভালোবাসা পেতে হলে রসুলুল্লাহ (সঃ) কে ভালোবাসতে হবে। তাঁর ভালোবাসার মাধ্যমেই একজন জয় করতে পারবে আরশ-কুরসি-লৌহ-কলম তথা সমগ্র জগৎ।’

‘কি মুহাম্মদ সে ওয়াফা তু-নে তু হাম তেরে হ্যায়-
ইয়ে জাহাঁ চিয হ্যায় কিয়া লৌহ কলম তেরে হ্যাঁয়’।
অর্থাৎ : মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যদি ভালোবাস তবে আমার ভালোবাসা পাবে, এ বিশ্বজগত তো তুচ্ছ, লৌহ কলম তথা সমগ্র জগৎ তোমারই।
ঠিক একই অর্থ নজরুলের কণ্ঠে-
‘আল্লাহ কে যে পাইতে চায় হযরত কে ভালোবেসে
আরশ কুর্সী লওহ কালাম না চাইতেই পেয়েছে সে।।’
রসুলুল্লাহ (সঃ) এর জন্মের পর তাঁকে দেখবার জন্য শুধু আত্মীয়-স্বজনই নয় বরং আকাশ বাতাস, তরুলতা, হুর জেন-পরী, অসংখ্য ফেরেশতার ভীড় অদৃশ্যভাবে উপচে পড়ে মা- আমিনার প্রসব কক্ষে। আর বয়ে যায় সালাম-সম্ভাষণের বন্যা। কবি বলেন-
‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলরে দুনিয়ায়
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস, দেখবি যদি আয়।’

কবি নজরুল ছিলেন প্রকৃত নবী প্রেমিক। কবি প্রত্যেক সৌন্দর্য ও মনোহারিতার মাঝে খুঁজে পাচ্ছেন সেই নবী প্রেম। তাঁর মতে বুলবুল ও কোকিল সুমধুর কন্ঠ পেয়েছে রসুলেরই গীত গেয়ে। গোলাব, ডালিয়া, বেলী, জুঁই ও চামেলীর মত সুগন্ধযুক্ত ফুলগুলি রসূলের কদম চুম্বনের কারণেই আজ সুগন্ধধারী। এমনই বিশ্বাস ও রসূলের ভালোবাসায় মাতোয়ারা কবি। তাই তাঁর কন্ঠে উচ্চারিত হতে দেখি-
‘মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
তাই কি রে তোর কন্ঠের গান এমন মধুর লাগে।।
ওরে গোলাব নিরিবিলি
(বুঝি) নবীর কদম ছুঁইয়েছিলি
(তাই) তাঁর কদমের খোশবু আজ ও তোর আতরে জাগে।।’
কবি নজরুল রসূলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাই সকলে আহ্বান করছেন যে সকলেই যেন তাঁর নাম অতি ভক্তির সঙ্গে উচ্চারণ করে। কবি বলেন রসূলের কারণেরই আমাদের বসুন্ধরা ফুলে ফলে পূর্ণ। এমনকি তাঁর কারণেই আমরা পেয়েছি চাঁদ-নক্ষত্র খচিত আকাশমণ্ডলি। আর সেগুলি মনোরম আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। কবির ভাষায়-
‘নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল।
যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্‌মানে খায় দোল।।’
রসূল (সা.) এর নামের মধ্যে রসূল প্রেমী কবি নজরুল এক অভূতপূর্ব স্বাদ আস্বাদন করেছেন। অসংখ্য বার ভক্তি সহকারে তাঁর নাম উচ্চারণ করার পরেও কবির নবী প্রেমের স্বাদ মেটেনা। হাজার বার দরুদ পাঠ করেও ইশকে রসূলের সেই ক্ষুধা, সেই তৃষ্ণা থেকেই যায়-
‘তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত।
যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।।’

কবি অন্যত্র বলেন রসূলের নাম যেন মধুমাখা। যতই তাঁর নাম উচ্চারণ করি ততই যেন তার মধ্যে মিষ্টত্ব বেড়ে যায়। নামও যে মধুমাখা হয়, এ জগতের কেউ তা জানত না। মোহাম্মদ ও আহমাদ নামকরণের পরেই বিশ্বজগৎ এই স্বাদ পেতে শুরু করেছে। কবির কণ্ঠে-
‘মোহাম্মদ নাম যত জপি, তত মধুর লাগে।
নামে এত মধু থাকে, কে জানিত আগে।।’
সমগ্র বিশ্ব যখন মূর্খতা, অজ্ঞতার অতল সাগরে তলিয়ে ছিল, মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে পাশবিক হয়ে গেল। মানবজাতি যখন অসভ্যতার গণ্ডি লঙ্ঘন করে, পশু ও মানবের মৌলিক পার্থক্য হারিয়ে ফেলেছিল, তখন মানবতা ডুকরে ডুকরে কাঁদছিল তার মুক্তির জন্য। এমনই এক সংকটময় মুহূর্তে আবির্ভাব ঘটে মানবতার মুক্তিদূতের। এরই ছবি ফুটে উঠেছে কাজী নজরুলের কণ্ঠে-
‘ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্‌ মুক্তি-কলোরোলে।।’
আমাদের কবি নজরুলের সম্বল আলাহর ক্ষমাশীলতা ও রসূল প্রীতি। তাই তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে-
‘আল্লাহ আমার প্রভু আমার নাহি নাহি ভয়।
আমার নবী মোহাম্মদ যাঁহার তারিফ জগৎময়।।’

যার অন্তরে মাহবুবে খোদার প্রেম নেই, লাখোবার মুমিন দাবি করলেও সে পূর্ণাঙ্গ ইমানদার নয়। কারণ আল্লাহ বলেন- হে নবী! লোকদের বলে দাওঃ “যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ‌কে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ‌ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”(সুরা আল-ইমরান: ৩১)
আল্লামা ইকবাল আরও বলেনঃ-
‘এশকে মাহবুবে খোদা জিস দিল মে হাসেল নেহি
লাখো মুমিন হো মাগার ইমান মে কামেল নেহি’
অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ ইমানদার হতে গেলে তার থাকতে হবে নবীর প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা।
আল্লামা ইকবাল আরও বলেন যদি রসূলের প্রতি প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও ভক্তি না থাকে তবে সে একজন পূর্ণাঙ্গ ইমানদার হওয়া তো দুরের কথা প্রকৃতপক্ষে সে একজন মানুষই নয়। কবির ভাষায়-
‘তেরি উলফাত কি আগার হো না হারারাত দিল মে
আদমি কো ভি মোয়াছছার নেহি ইনসান হোনা ‘
অর্থ
রসূলের- প্রেম ভালবাসা যদি আপনার মনে প্রানে না থাকে, তবে সে মানুষের গুনে গুণান্বিত হতে পারে না। প্রতিপক্ষে মানুষ হতে গেলে রসূলের ভালোবাসা ও তাঁর আদর্শকে মেনে চলতে হবে।
১৯২৩ প্রকাশিত পায়ামে মুশরিকে তিনি নবীজির প্রতি প্রেম সম্পর্কে বলেছেন,
‘হার কেহ ইশকে মুস্তাফা সামানে আওসাত
বাহার অ বার দার গোসাহে দামানে আওসাত
যানাকে মিল্লাত রা হায়াতে আযে ইশকে আওসাত
বারগ অ সাযে কায়েনাত আযে ইশকে আওসাত’
অর্থাৎ
‘যে মোস্তফার প্রেমকে লালন করে
সে সমুদ্র এবং স্থল সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে
রাসূলের প্রেমই তার জীবনকে প্রাণ সঞ্চার করে,
মহাবিশ্বকে দেয় সমৃদ্ধি।’
কবি ইকবাল নবী প্রেমে ডুবে আছেন তাই তার কন্ঠে উচ্চারিত হতে দেখি,
“মগজে কুরআ, রুহে ঈমান, জানে দ্বীন,
হাসত হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামীন।”
অর্থাৎ –
“কুরআনের মগজ, ঈমানের আত্মা, ধর্মের প্রাণ শক্তি হলো,
সৃষ্টির তরে অপার করুনার (নবীজী) প্রতি, অকুণ্ঠ ভালোবাসা।।”
মক্কা মদিনা ও হেজাজের প্রশংসায় আল্লামা ইকবাল বলেন যে, মক্কা মদিনায় একটি চিকিৎসালয় খুলেছে সেখানে মানবতার চিকিৎসা হয়। পথ হারা মানুষ তার সঠিক ঠিকানা খুঁজে পাবে, এই চিত্রকে কবি চিত্রুঙ্কন করছেন এই ভাবে-
‘এক পেশঅয়ে কয়ম নে একবাল সে কাহা,
খুলনেকো জেদ্দা মে হে শেফা খানায়ে হেজাজ।
অর্থ- জাতির এক নেতা (রসূল স.) ইকবালকে (সমস্ত মানবজাতিকে) মক্কা মদিনায় তথা হেজাজে রোগে আক্তান্ত মানবজাতির জন্য একটি চিকিৎসালয় খোলা হয়েছে। এখানে কবি মানবজাতিকে কঠিন রোগে আক্তান্ত মনে করছেন এবং রসূল (সঃ) এর হাতেই তাদের সুস্থতা নিহিত আছে।
নবীপ্রেমে কবি আল্লামা ইকবাল বলেছেন-
‘কুওয়াতে এশকসে হার পাস্ত কো বালা কর দে
দাহার মে এসমে মুহাম্মদ সে উজালা কর দে’-
অর্থ
এশকে মুহাম্মদির শক্তি দিয়ে সব পতিতকে উন্নত করে দাও
মুহাম্মদ নামের মাধ্যমে যুগকে আলোকোজ্জ্বল করে দাও।

নবীপ্রেমে কবি আল্লামা ইকবাল আরও বলেছেন-
‘দার জাহাঁ শাময়ে হায়াত আফরোখতি
বান্দাগানে রা খওয়াজগি আমুখতি’
অর্থ
বিশ্ব মাঝে জীবনে প্রদীপ জ্বালালে তুমি,
আল্লাহর বান্দাদের বিনয় মহত্ত্ব শেখালে তুমি।
ইসলাম ভোগ বিলাসিতার জন্য নয়। আড়ম্বরপূর্ণ জীবন মানুষকে ধর্মহীনতার স্রোতে ভাসিয়ে দেয়। ধর্মহীনতার কারণ হয়ে দাড়ায়। আল্লামা ইকবাল রাহিমাহুল্লাহ মনে করেন, এই ধর্মহীনতার মোকাবিলায় একমাত্র হাতিয়ার রাসূলের ভালোবাসা এবং আল্লাহ্ ভীতি। আল্লাহ ও রসূলের প্রতি থাকবে গভীর ভালোবাসা। কোরআন ও হাদিসের আদেশ অনুসারে জীবন হবে সংযত। মনচাহি নয়, রবচাহি জীবনই হবে একজন মুসলিমের জীবনযাত্রা। আল্লামা ইকবালের কণ্ঠে –
‘ইয়ে শাহাদাত গাহে উলফাত মে কদম রাখনা হে
লোগ আসাঁ সামাজতে হেঁ মুসলমাঁ হোনা ‘
অর্থ- আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকারোক্তির অর্থই হল রসূল (সঃ) কে গভীরভাবে ভালোবেসে তাঁর দেখানো পথে নির্দ্বিধায় চলা। যেখানে থাকবে আলাহ ও রসূলের প্রতি নিবিড় ভালোবাসা আর আনুগত্যের স্পৃহা।
উর্দুভাষী মুসলমানরা আল্লামা ইকবালের কাব্যকে বহু ভাষায় অনুবাদ করে তার কবিতা ও ব্যক্তিত্বকে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত করে দিয়েছে। তিনি একজন বিশেষ ‘ইসলামী কবি’ খ্যাত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাঙালিরা কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাধারাকে বিশ্বের কাছে সেই অর্থে পরিচয় করাতে পারেনি। যার কারণে আল্লামা ইকবালের মতো কাজী নজরুল ইসলামও অসংখ্য নাত-এ-রাসূল এবং গজল রচনা করার পরেও তিনি ‘বিদ্রোহী’ রয়ে গেলেন আর ইকবাল সায়েরুল ইসলাম তথা ‘ইসলামী কবি’ হিসাবে সুপরিচিত হলেন।

(লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আরবি বিভাগ, শহীদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ)

 

 

 

 

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!