দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার দিল্লি গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে গিয়েই বৈঠক করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেখান থেকে বেরিয়ে সলিসিটর জেনারেল তথা নারদ মামলার সিবিআই আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে আলোচনা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তুষার মেহতার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের বিষয় নিয়েই শুরু হয়ে বিতর্ক।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দু কীভাবে দেখা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীর সঙ্গে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা লিবিআইয়ের হয়ে নারদ মামলায় সওয়াল করছেন আর শুভেন্দু অধিকারী দেখা করে সেটিং করছেন, এ চলতে পারে না বলেই দাবি তৃণমূলের।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেন। টুইটে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তি তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করলেন। তাহলে বিজেপি কী মধ্যস্থতা করে বাঁচাচ্ছে অভিযুক্তকে? নাম না করেই অভিযুক্ত শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন কুণাল ঘোষ। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিতশাহর সঙ্গে বৈঠক সেরেই তুষার মেহতার কাছে গেল। আগামীদিনে নারদ মামলায় অভিযুক্ত হয়ত আগাম জামিনের আবেদন করবে, আর সিবিআই সেই জামিনের বিরোধিতা সেইভাবে করবে না। সেটিং হয়ে গেল। হ্যাঁ আমি জেলবন্দি ছিলাম। কারা ষড়যন্ত্র করে জেলে পাঠিয়েছিল সবাই তা জানে। মাথা উঁচু করে লড়াই করছি। জেলের ভয়ে দল বদলে পাশের পাড়ার জেঠুকে বাবা বলে ডাকতে যাইনি। মেরুদণ্ডে তফাৎটা এখানেই বোঝা যায়। আজ যে অভিযুক্ত জেল এড়াতে ঘুরছে তাকেও একদিন জেলবন্দি হতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সারদা মামলায় সাড়ে তিন বছর জেল খাটা কারও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’