দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: হাইভোল্টেজ নারদ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ৪ হেভিওয়েট নেতাকে নারদ মামলায় গ্রেপ্তার করা হলে পরে তাঁরা শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হন। প্রসঙ্গত এই মামলায় পার্টি করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। ফলে মমতা ব্যানার্জি কলকাতা হাইকোর্টে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হলফনামা দিতে চান। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ সেই হলফনামা নিতে অস্বীকার করে। আর এই বিষয়েই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হলেন মমতা ব্যানার্জি। এই সংক্রান্ত মামলারশুনানি হবে আজ। সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন। মলয় ঘটককেও এই মামলায় পার্টি করে সিবিআই। তাই মলয় ঘটকের তরফেও কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিতে চাওয়া হলে তা নিতে অস্বীকার করে হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তাই মলয় ঘটকও দারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।
প্রসঙ্গত,নারদ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জি, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জিকে যেদিন গ্রেপ্তার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়, সেদিন নিজাম প্যালেসে ছুটে এসেছিলেন মমতা ব্যানার্জি, মলয় ঘটক। আর নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভও চলতে থাকে। এইসব কারণে এই মামলা সিবিআই অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিল। এই মামলায় সিবিআই বারবার প্রভাবশালী তত্ত্বকে খাড়া করে। আর মমতা ব্যানার্জি এবং মলয় ঘটককে এই মামলায় পার্টি করা হয়।