দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বার বার ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা পুরনো স্মৃতি উসকে দিচ্ছে যোগীরাজ্য। নির্ভয়া থেকে হাথরস -একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। সেপ্টেম্বের হাথরস ঘটনার পর ৩ মাস কাটতে না কাটতেই নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে ফের ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। চলন্ত গাড়িতে মধ্যবয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হল। ধর্ষণের পর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হল। ভেঙে দেওয়া হল পাঁজর ও পায়ের হাড়। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় মৃত্যু হয় ওই মহিলার। দীর্ঘ গড়মসির পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রশ্নের মুখে সে রাজ্যের পুলিশের ভূমিকাও। হাথরস কাণ্ডের সময়ও পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি রাতারাতি নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। মধ্যরাতে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় বলে জানা গিয়েছে। সেই অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলাকে। কিন্তু রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গোটা ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসার (এসও) রবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে যাওয়ার তাগিদ পর্যন্ত দেখাননি। বরং যেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, সোমবার দুপুরে কেবলমাত্র একবার সেখানে ঢুঁ মেরে আসে পুলিশ। এমনকি মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হলেও, সোমবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। একজন মহিলা-সহ ৩ চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
কিন্তু মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসায় স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই রক্তক্ষরণ আর বন্ধ করা যায়নি। তার জেরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়।