দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : কখনও তিনি নিজেকে নিয়ে বলেছেন ‛আমি ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেরোতাম, ঝোলা নিয়েই কোথাও চলে যাব’। আবার কখনও-সখনও গর্বের সঙ্গে বলেছেন গুজরাতের বডনগর স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানে কাজ করে অতি কষ্টে দিন গুজরান করেছেন। কিন্তু সেই চায়ের দোকানটি কোথায় ছিল, তা অবশ্য কখনও স্পষ্ট করেননি তিনি।
এ বারে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম রেলের কাছে জানতে চাইলে তারা জানিয়ে দিল, এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই! রেলের এই জবাবের ভিত্তিতে এক ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। হরিয়ানার একটি আদালতের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারীক তথ্যের অধিকার আইনে তথ্য কমিশনের কাছে জানতে চান, বডনগর স্টেশনের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাস মোদীর চায়ের দোকান সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হোক।
শুধু তাই নয়, কোন সালে নরেন্দ্র মোদীর বাবার দোকানটির লাইসেন্স মঞ্জুর হয়েছিল, জানতে চাওয়া হয়েছিল তাও। এ বিষয়ে ‘সার্টিফায়েড কপি’ও চান ওই সমাজকর্মী। প্রথমে রেলকে এই প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। রেলের তরফে কোনও উত্তর না-মেলায় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে ‘ফার্স্ট অ্যাপিল’ করেন পবন। তারও উত্তর না-মেলায় ফের আবেদন করেছিলেন পবন।
যদিও পশ্চিম রেলের সিপিআইও-র দাবি, চলতি বছরের ১৭ জুনের আগে তথ্যের অধিকার আইনে এবং ‘ফার্স্ট অ্যাপিল’ হিসেবে কোনও আবেদন পৌঁছয়নি তাঁদের কাছে। এর পরেই পবনের আবেদনে ইতি টেনে দেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার অমিতা পাণ্ডবে। পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ১৭ জুনের আগে তাদের কাছে ‘আরটিআই’ এবং ‘ফার্স্ট অ্যাপিল’ পৌঁছয়নি বলে রেল যে দাবি করেছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। পাশাপাশি মোদীর বাবার চায়ের দোকান সম্পর্কিত তথ্যও যে রেলের কাছে নেই, তা-ও হলফনামায় জানানোর জন্য রেলকে নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য কমিশনার।