Monday, December 23, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

এখনও জেল থেকে ছাড়া হয়নি ডাঃ কাফিল খানকে! যোগীরাজ্যে শুরু ‛নয়া নাটক’

ছবি : সংগৃহিত

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ডাঃ কাফিল খানকে মুক্তি দিতে নারাজ মথুরা জেল কতৃপক্ষ। মথুরা জেলের আধিকারিকরা কাফিলকে মুক্তি দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

 

আধিকারিকদের কথায়, ডাঃ কাফিলকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আলীগড়ের ডিএম-এর নির্দেশ লাগবে। অন্যদিকে কাফিল পক্ষ আলীগড়ের ডিএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও নানা বাহানা দেখাচ্ছেন। এমনকি আদালতের নির্দেশের কপিও দেখতে নারাজ তিনি।

উল্লেখ্য, আজ সকালেই ডাঃ কাফিল খানকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা এনএসএ)-র ধারা প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কাফিল খানের ভাষণে ঘৃণা ও হিংসায় মদত দেওয়ার কোনও চেষ্টা ছিল না। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সিএএ বিরোধী মন্তব্য করায় জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল কাফিল খানের উপর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাফিল খানকে।

এ দিন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি সৌমিত্রা দয়াল সিংকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘বক্তা স্পষ্ট সরকারি নীতির বিরোধী এবং সেই মত ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি কিছু উদাহরণ উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার মতো এক্ষেত্রে এমন কোনও জোরালো প্রমাণ ছিল না। ভাষণের কোনও অংশেই ঘৃণা ও হিংসা ছড়াতে কোনও উসকানিমূলক কথা ব্যবহার করা হয়নি। আলীগড় শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করারও কোনও ইন্ধন জোগানো হয়নি। বরং ভাষণে জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের কথাই বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে শান্তির বার্তাও রয়েছে ওই ভাষণে। মনে করা হচ্ছে, জেলাশাসক গোটা ভাষণটি পড়েননি এবং তার সঠিক নির্যাস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

 

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!