দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মোদী সরকারের শাসনে অকাতরে বেড়ে চলেছে উগ্র-হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন। যেখান সেখানে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে উগ্র-হিন্দুত্ববাদীরা। এমনকি পিটিয়েও মেরে দিচ্ছে তারা। যার ফলে ভবিষ্যৎ ভারতে ঘন অন্ধকার নেমে আসতে ফলে। এবার যোগীরাজ্যে দু’জন খৃস্টান সন্ন্যাসিনীকে হেনস্থা করল এবিভিপি। ধর্মান্তরণের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ট্রেন থেকে নামিয়ে কেরলের দু’জন খৃস্টান সন্ন্যাসিনীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিরুদ্ধে। তদন্তের পর সন্ন্যাসিনীদের ছাড়া হয়। ঘটনায় অমিত শাহকে চিঠি দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ১৯ মার্চ হরিদ্বার-পুরী উৎকল এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিলেন দু’জন খৃস্টান সন্ন্যাসিনী ও দু’জন প্রশিক্ষণরত সন্ন্যাসিনী। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের ঘিরে রয়েছেন পুলিস কর্মীরা। একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে,’লাগেজ বের করুন। সঠিক তথ্য না দিলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ আর একটি ভিডিয়ো ও ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঝাঁসি রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রয়েছেন মহিলারা। তারপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ঝাঁসি রেলওয়ে পুলিস স্টেশনে।
ঝাঁসি রেল পুলিসের সুপার নইম খান মনসুরি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন,’ঋষিকেশ থেকে ফিরছিলেন এবিভিপি-র জনা কয়েক সদস্য। হজরত নিজামুদ্দিন থেকে ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন ৪ খৃস্টান মহিলা। এবিভিপি সদস্যদের সন্দেহ হয়, প্রশিক্ষণরত সন্ন্যাসিনীদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই আরপিএফে খবর দেন তাঁরা। লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়। তাঁদের শংসাপত্র খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, দু’জন মহিলাই খৃস্টান। ধর্মান্তরণের অভিযোগ মিথ্যা।’
কেরলে ভোটের আগেই এই ঘটনায় তৎপরতা বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ওই চিঠির পর অমিত শাহ আশ্বস্ত করেছেন,’সন্ন্যাসিনীদের হেনস্থায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’