Friday, March 14, 2025
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

সরকারকে বিপাকে ফেলতেই সেন্ট্রাল ভিস্টা নিয়ে রং চড়াচ্ছে বিরোধীরা, তোপ মোদী সরকারের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারির মধ্যেও মোদী সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে একে ‘অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প’ তকমা দিয়েছে। এমনকী করোনাকালের এই সঙ্কটময় প্রকল্প বন্ধের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলেও তাতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন দিল্লি হাইকোর্ট। উল্টে এই প্রকল্পকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। যদিও তারপরেও সেন্ট্রাল ভিস্টা নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

বিরোধীদের দাবি করোনার ধাক্কায় দিল্লির আর্থ-সামাজিক অবস্থার পাশাপশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ রূপ ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থায় নির্মাণকাজ কী ভাবে অত্যাবশ্যক হতে পারে ? এই প্রকল্পে কাজ চলার ফলে করোনা অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার বিরাট আশঙ্কা রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। যাঁরা দিনমজুরিতে কাজ করছেন, তাঁরাই সকলের আগে সংক্রমিত হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

পাশাপাশি মামলাকারীদের হয়ে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, তাঁরা শুধু দিল্লির মানুষের জনস্বাস্থ্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। এমনকী মামালাকারী ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি ও অন্যান্য মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, করোনার জেরে যেখানে গোটা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে সেখানে বর্তমান সময়ে এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা কোথায় ? আর ঠিক এখানেই আপত্তি কেন্দ্রের। তাদের দাবি গোটা প্রকল্পের কাজকেই অনেকটা রং চড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।

 

এমনকী কেন্দ্রের এও দাবি গোটা প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখনও দেশে করোনা থাবা বসায়নি। এই নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত কাজ এগোচ্ছে। পাশাপাশি মানা হচ্ছে সমস্ত কোভিড বিধিই। কিন্তু বিরোধীরা সরকারকে বিপাকে ফেলতেই চক্রান্ত করছে বলে মত তাদের। জনস্বার্থ মামলার আড়ালে প্রকল্প আটকানোই তাদের মূল লক্ষ্য।

পাশাপাশি কেন্দ্রের যুক্তি গোটা প্রকল্পের ভাবনা বহু বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর মূল লক্ষ্য পূরণের জন্য মোট ছটি ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে কাজ চলছিল প্রায় ৬ বছর ধরে। সমস্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা মিলত অর্থরাশিই আদপে ২০ হাজার কোটি। অন্যদিকে চলতি অর্থবর্ষে শুধুমাত্র নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য ৮৬২ কোটি ও সেন্ট্রাল ভিস্টা অ্যাভিনিউয়ের পুনর্নিমানের জন্য ৪৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু আসল তথ্য সকলের সামনে না এনে আংশিক সত্য দিয়েই মিথ্যাচার করছে বিরোধীরা, দাবি কেন্দ্রের।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!