দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ জুলাই থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে রবিবার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে একাধিক ইস্য়ুতে সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এবারের অধিবেশনে সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে যে তাঁরা কোমর বেঁধে নামছে, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা।
এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে হাজির ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন। এনসিপর তরফে বৈঠকে ছিলেন শরদ পাওয়ার এবং সমাজবাদী পার্টির তরফে রামগোপাল যাদব। সূত্রের খবর, রবিবারের বৈঠকে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সুর চড়ান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুধু এদিন নয়, অধিবেশনের প্রথম দিনেও এই ইস্য়ুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্যের শাসকদল। এছাড়া কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করা, কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগেও সরব হন তাঁরা। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগে থেকেই সরব তৃণমূল। এদিন ফের কেন্দ্রের কাছে তা বাতিলের দাবি জানান সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়রা।
পাশাপাশি,টিকা নিয়ে সংসদের অন্দরে আলোচনার প্রস্তাব রাখে সমস্ত বিরোধী দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানান তাঁরা। তবে বিরোধীদের সেই প্রস্তাবে সায় না দিয়ে, আরও একটি সর্বদল বৈঠক করার প্রস্তাব দেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সূত্রের খবর, তাঁর প্রস্তাব একযোগে উড়িয়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। টিকার অপ্রতুলতা নিয়ে সংসদের অন্দরেই প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে এককাট্টা তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে আসলে সংসদকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।