দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: একই পরিবারের ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। খবর শুনে ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করে করোনা আক্রান্তের বাড়ি ও এলাকা নিজেই স্যানিটাইজ করলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তরবঙ্গের বিদ্বজ্জনদের নিয়ে ধূপগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক।
সেই অনুযায়ী সেখানে যাবেন বলে তৈরী হচ্ছিলেন তিনি। এরমধ্যে খবর আসে ডুয়ার্সের ক্রান্তি এলাকায় একটি পরিবারে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই বাড়িতে একটি ছোট বাচ্চাকে নিয়ে রয়েছেন সেই পরিবারের বধূ। যিনি সম্প্রতি করোনা জয়ী হয়েছেন। খুব স্বাভাবিক ভাবে তিনি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর শুনে আর বসে থাকতে পারেননি পদ্মশ্রী। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে না গিয়ে তাদের জন্য একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি পিপিই কিট পড়ে পিঠে স্যানিটাইজার-এর জার নিয়ে ছুটে যান ওই বাড়িতে।
সেখানে গিয়ে তিনি পুরো বাড়ি স্যানিটাইজ করেন। এবং একইসাথে ওই গৃহবধূর সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাঁর সমস্যা শুনে, মানসিক চাপ খানিকটা কমিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে যান ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়িতে। যেহেতু পুলিশ কর্মীরা করোনা পরিস্থিতিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাই তিনি নিজের উদ্যোগে গোটা পুলিশ ফাঁড়ি ভালোভাবে স্যানিটাইজ করেন। আচমকাই পদ্মশ্রী পুলিশ ফাঁড়ি স্যানিটাইজ করছেন এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। দৃশ্য মোবাইল বন্দী করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পুলিশ কর্মীদের মধ্যে।
ঘটনায় পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, দেশ এখন মহামারীতে জর্জরিত। আর এই সময় একদল মানুষ রাজনৈতিক হানাহানি করে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমি করজোড়ে অনুরোধ করছি, হানাহানি ভুলে সবাই মিলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে সমাজকে সুস্থ করে তুলি। করিমুলবাবুর এই উদ্যোগে গর্বিত পুলিশ অফিসার থেকে সাধারণ মানুষ।