দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আসছেন বলে কথা। কেন্দ্র থেকে তাবড় তাবড় নেতারা ছুটে আসছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ডেকে এনেও মাঠ ভরাতে পারল না বিজেপি। ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচন। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিভিন্ন আসনে ভোট রয়েছে। ভোটের আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তার আগে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপি এসব জায়গায় সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি?
রবিবার দুপুরে শালবনির গোবরুতে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুর্গামন্দিরের সভা করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সভাস্থলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন এসে পৌঁছোন, তখন খুব বেশি ভিড় ছিল না। সভায় অধিকাংশ চেয়ারই ছিল ফাঁকা। ফাঁকা সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দিদি বলছেন খেলা হবে।’ সঙ্গে তাঁর হুংকার, ‘বাংলার মানুষ বলছেন, এই খেলাটা বন্ধ হবে।’
তবে শুধু স্মৃতির সভায় নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-সহ একাধিক জায়গায় বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না। ঝাড়গ্রামেও এই একই ছবি ধরা পড়েছে। সভায় লোক না হওয়ায় এর আগে অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষের মতো রাজ্যস্তরের নেতাদের ফেরত যেতে হয়। সভায় বক্তব্য না রেখেই তারা ফেরত যান।