Sunday, February 23, 2025
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

মহামারীতে মহালুট! দু’হাতে লুটছেন বিজেপি নেতারা

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বিজেপি হামেশাই দাবি করে নরেন্দ্র মোদীর শাসনে নাকি দুর্নীতিই উবে গেছে। করোনা মহামারীর গভীর সঙ্কটের সময়ে সেই সততার মুখোশ খসে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে গঠিত বেসরকারি তহবিল থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কোথাও ভেন্টিলেটর কেনায় দুর্নীতি, কোথাও পিপিই-র বরাতে ঘুষ। কোথাও আবার ওষুধ দেওয়ার নামেই জালিয়াতির অভিযোগ। কোটি কোটি মানুষ যখন আধপেটা খেয়ে অথবা অনাহারে, হাতে টাকা নেই। লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হাঁটতে হাঁটতে মরে যাচ্ছেন, তখনও দু’হাতে লুটছেন বিজেপি নেতারা, অভিযোগ তেমনই । লুটের সেই অর্থই ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে ভোটপ্রচার, উঠছে অভিযোগ। সাম্প্রতিক দুর্নীতির দিকে এক নজর।

করোনা মহামারী মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ত্রাণ তহবিলের বদলে ২৮ মার্চ একটি বেসরকারি তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি নিজেই চেয়ারম্যান। ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। হাজার হাজার কোটি টাকা এই তহবিলে জমা পড়েছে, এখনও পড়ছে। তথ্যের অধিকার আইনে বেঙ্গালুরুর আইনের ছাত্র হর্ষ কাণ্ডুকুরির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ‛পিএম কেয়ার্স ফাণ্ড সরকারি তহবিল নয়।’ তাই কোনও হিসেবে দেওয়া হবে না।

 

প্রধানমন্ত্রী দফতরের জবাব মতো এই টাকা সরকারি তহবিলে আসছে না। কত টাকা আসছে আর কত টাকা খরচ হলো, কত টাকা অবশিষ্ট আছে এইসব কিছুই জানার উপায় থাকবেনা জনগণের, যেহেতু সরকারিভাবে এর অডিট বা হিসেব নিকেশ হবে না। তহবিলের নাম ‛প্রধানমন্ত্রী’ শব্দ দিয়ে। বিজ্ঞাপনে যথেচ্ছ অশোক স্তম্ভ, জাতীয় পতাকার ব্যবহার হচ্ছে। অথচ সেই তহবিলটাই বেসরকারি! এটাই বিরাট বেআইনি কাজ, তারসঙ্গে এইসব ব্যাবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা তোলা।

জানা গেছে, মে মাসের শেষ পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স-এ ১০ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলি বিপুল টাকা দিয়েছে এই তহবিলে। কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের একদিনের আয় দিতে বাধ্য করা হয়েছে এই বেসরকারি সংস্থায়, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির এক হাজার কোটি টাকা এই তহবিলে নেওয়া হয়েছে। ফিল্মস্টার থেকে খেলোয়াড়রা প্রচুর টাকা দিয়েছেন। আর অসংখ্য জনগণের দানের তো হিসেব পাওয়া সম্ভবই না। বিপুল এই তহবিলের একটি টাকাও এখনো পর্যন্ত খরচ করা হয়নি। এমনকি খেতে না পেয়ে মরে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যেও দেননি প্রধানমন্ত্রী।

অভিযোগ উঠেছে, এই টাকা খরচ হবে বিজেপির ভোট প্রচারে, আইটি সেলের কাজে। এমনকি অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার জন্য হাজার হাজার এলইডি এবং স্মার্ট টিভি লাগাতে যে বিপুল খরচ হচ্ছে তাও এই তহবিল থেকেই বলে অভিযোগ।

 

আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে

Leave a Reply

error: Content is protected !!