দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ফেরিওয়ালাদের জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজ ব্যাঙ্কঋণের যে প্রকল্প কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, মধ্যপ্রদেশে ওই প্রকল্পের সুবিধা কে, কেমন এবং কত জন পাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখতেই বুধবার একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্টারনেটে হেঁটে কিছু ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে কথাও বলেন মোদী।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের ছগনলাল বর্মা। ঘরে বসেই তৈরি করেন খেজুর পাতার ঝাঁটা। ঠেলাগাড়িতে তা ফেরি করেই দিন গুজরান। বুধবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ছগনের উদ্দেশে মোদীর একের পর এক প্রশ্ন, “দিনে কতগুলি ঝাঁটা তৈরি করেন? কী কী কাঁচামাল জোগাড় করতে হয়? দাম মেটাতে হয় কখন? এক-একটি ঝাঁটা তৈরির গড় খরচ কত?”
তবে এহেন প্রশ্ন করেও ক্ষান্ত হননি প্রধানমন্ত্রী। ছগন ঠেলাগাড়ির পাশে যে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন, তার পিছনে দুই পায়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে জলের বোতল। প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়তেই ধেয়ে এল প্রশ্ন, “প্লাস্টিকের বোতল কেন? বাড়ি থেকে কলসি কিংবা কুঁজো আনা যায় না?” এবিষয়ে নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা, পায়ের নীচে রাখা প্লাস্টিকের জলের বোতলও তাঁর নজর এড়ায় না। তা হলে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে এত লোকের কাজ যাওয়া, চাকরি খোয়ানো তাঁর চোখ এড়াচ্ছে কী করে?