দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে ‘সিটিজেন অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমারজেন্সি সিচুয়েশন’ তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী। পিএম কেয়ারসে দেশবাসীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই টাকার হিসেব দিতে নারাজ মোদী সরকার। এবার এই বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন দেশের ১০০ প্রাক্তন আমলা। চিঠিতে প্রাক্তন আমলাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর পদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তা কোনওভাবেই ক্ষুণ্ণ হওয়া উচিত নয়। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই তহবিলের হিসেব নিকেশ দ্রুত প্রকাশ করা উচিৎ।
চিঠিতে প্রাক্তন আমলারা জানিয়েছেন, দেশের নাগরিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই তহবিলের তথ্য প্রকাশ করা হোক। তাঁদের কথায়, প্রধানমন্ত্রী পদের মান-মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত আর্থিক লেনদেন বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় থাকা জরুরি। করোনা পরিস্থিতি আমজনতার পাশে দাঁড়াতে পিএম কেয়ারস তহবিল তৈরি হয়েছিল। তাঁদের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতেই এই তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে, কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা দরকার। উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার এই তহবিলের জমাখরচের হিসেব প্রকাশের দাবি উঠেছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১০০ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী, এসপি অ্যাম্ব্রোস, শরদ বেহার, সাজ্জাদ হাসান, হর্ষ মন্ডের, পি জয় ওমেন, অরুনা রয়, মধু ভাদুড়ি,কে পি ভাদিয়ন-সহ আরও অনেকে। যদিও এই চিঠি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে ‘সিটিজেন অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমারজেন্সি সিচুয়েশন’ তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিপর্যয় মোকবিলা তহবিল থাকা সত্ত্বেও এই তহবিল তৈরি হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। দেশ-বিদেশের নাগরিক, বিভিন্ন সংস্থার তরফে প্রধানমন্ত্রীর এই তহবিলে টাকা জমাও পড়ে। করোনা মোকাবিলায় এই টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে অডিট বা আরটিআইয়ের ঊর্ধ্বে রাখা হয় এই তহবিলকে। ফলে কত টাকা জমা হয়েছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বরং পিএম কেয়ারস তহবিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। এই বিতর্কের মাঝে প্রাক্তন আমলাদের এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।