দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র উদ্বোধন করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দার্জিলিংয়ে দিলীপকে ঘিরে কালো পতাকা দেখান ও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন স্থানীয় জনতারা। স্থানীয়দের প্রত্যেকের হাতে ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকা। আর প্রত্যেকেই মঙ্গলবারই সেখানে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তার আগে সকাল থেকে এই বিক্ষোভে উত্তপ্ত পাহাড়। নবান্ন দখলের লড়াইয়ে সাম্প্রতিক কালে অনেক বার উত্তরবঙ্গে গেলেও পাহাড়ে যাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
৩ বছর আগে দার্জিলিংয়ে গিয়ে ব্যাপক হেনস্তার মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেইসময় তাঁকে ঘিরে মারধর করার ঘটনাও ঘটে। মঙ্গলবার তিনি পাহাড়ে পা রাখামাত্রই ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। দার্জিলিং স্টেশন চত্বর, ঘুম এলাকায় সকাল থেকে বিজেপি বিরোধী বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পরিবেশ। পুলিশের তৎপরতায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।‘পরিবর্তন যাত্রা’ এগিয়ে চলে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই। একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে।
২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়বাসীর বিজেপির প্রতি সমর্থন থাকলেও ধীরে ধীরে সেই সমর্থন কিছুটা হলেও কমছে। বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নিজেদের জনভিত্তি ফের বাড়িয়ে তোলার চেষ্টায় মরিয়া। তৃণমূলের সমর্থিত মোর্চা এখন বিজেপিকে আটকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তিন বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পর পুজোর ঠিক আগেই রাজ্যে ফিরেছেন একদা পাহাড়ের নেতা বিমল গুরুং। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির সমর্থনে মাঠে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং। এরপরই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। যদিও গুরুং–বিরোধী বিনয় তামাংদের কলকাতায় ডেকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।