দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : উত্তর পূর্ব দিল্লিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গ্ৰেফতার করেছিলেন এক স্কুল মালিককে। পুলিশের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও চার্জশিটে তথ্যপ্রমাণের অভাবের জন্য দিল্লি কোর্ট জামিন দিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ঘটনার সময় ওই স্কুল মালিক অকুস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
দিল্লির শিব বিহারের রাজধানী পাবলিক স্কুলের মালিক ফয়জল ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর স্কুলের সংলগ্ন ডিআরপি কনভেন্ট স্কুল ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিতে প্ররোচনা দিয়েছিলেন। এখানেই একজনের মৃত্যু হয়েছিল। ফারুকের দাবি, দাঙ্গাবাজরা যখন তাঁর স্কুলে ঘাঁটি গাড়ে তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। সাহায্যের জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রায় তিন দিন ধরে এই স্কুলের এক প্রহরীকে জিম্মি রাখা হয়েছিল।
চার্জশিটে পুলিশের অভিযোগ, দাঙ্গা সংঘটিত করতে ফারুকের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্য সহ পিঁজরা টড গ্ৰুপ, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি, হযরত নিজামুদ্দিন মার্কাজ ও দেওবন্দের ধর্মগুরুদের যোগাযোগ ছিল।
এই চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, ‛রাজধানী স্কুলের ছাদ থেকে দাঙ্গাবাজরা গুলি, পেট্রোল বোমা, অ্যাসিড, ইট, পাথর ছুড়েছিল।’ জামিননামায় কোর্ট পুলিশকে বলেছে, চার্জশিটে এমন তথ্য নেই যাতে প্রমাণিত হয় যে আবেদনকারীর সঙ্গে ওই সংগঠন গুলির যোগ ছিল। আদালত আরও বলেছে, ঘটনা চলাকালে আবেদনকারী অকুস্থলে হাজির ছিলেন কি না, তারও পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
সন্ত্রাসে অর্থ সাহায্যের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে আদালত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানেও স্ববিরোধিতা রয়েছে। ‛তথ্যের ঘাটতি ঢাকতে’ তদন্তকারী আধিকারিকরা সাক্ষী সাজিয়ে অতিরিক্ত বিবরণ পেশ করার চেষ্টা করেছেন। অভিযুক্ত যে মহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে আইনের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের যোগ ছিল বলে পুলিশের অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে যে, ওই মহিলা একজন রিপোর্টার।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে