সামাউল্লাহ মল্লিক
এইবার রাজি হয়ে যাও, পরাজয় স্বীকার করে নাও সফুরা। মাথা ঝুঁকিয়ে মেনে নাও যা অপরাধ করেছ। প্রশাসন নিজের কাজ করছে। ১৮টি ধারা রয়েছে তোমার বিরুদ্ধে। অস্ত্র রাখা, দাঙ্গায় উস্কানি, দেশদ্রোহিতা, হত্যার চেষ্টা, হত্যা, ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতা ইত্যাদি। সমস্ত অভিযোগ এক নজরেই প্রমাণিত। তোমার এই একটি ছবিই তার প্রমাণ। লক্ষ্য করে দেখেছ? এক হাতে কলম, অন্য হাতে মাইক, তার উপর মুখে তীব্র বুলি… এগুলো কি ভয়ানক অস্ত্র না? তোমার এই অস্ত্রের সামনে কি কামান, তলোয়ার ও বন্দুক হার মানেনি? মেনে নাও, তোমার অস্ত্র অত্যন্ত ভয়ানক।
মনে আছে সেদিনের কথা? হাতে মাইক নামক সেই অস্ত্র নিয়ে তুমি একের পর এক বুলি থুড়ি গুলি ছুঁড়ছিলে। তুমি বলছিলে ভয়ডরহীন হয়ে, প্রকাশ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সামনে দাঁড়ানো সশস্ত্র বাহিনী দেখে তোমার কি চুপ করে যাওয়া উচিত ছিল না? লাঠি, এসিড, ছুরি হাতে নিয়ে আসা দেশপ্রেমীকদের দেখেও পালাওনি, কেন? এই সাহস কোথায় পেয়েছ সফুরা? এটাই তো দেশদ্রোহিতার পরিচয়! তুমি ভাবলে কি করে যে, ন্যায় তোমাকে রক্ষা করবে? তুমি ভাবলে কি করে যে, তুমি এই দেশের স্বাধীন নাগরিক? তুমি ভয়ানক সফুরা, এজন্যই তুমি জেলে। তোমার জেলেই থাকা উচিত।
আমরা জানি তুমি বিবাহিত। তবুও আমরা বদনাম ছড়াব। আমরা জানি, যখন সব অস্ত্র অকেজো হয়ে যায় তখন বদনামই একজন নারীকে ভয় দেখানোর জন্য যথেষ্ট। আমরা তোমাকে হারাবই। আমরা সংখ্যায় বেশি, হাজার না লাখেরও বেশি। তুমি কতক্ষণ লড়বে? হাঁফিয়ে যাবে। তোমার গর্ভে যে সন্তান আছে, সেও জেলে আছে। তোমার সঙ্গে তাঁকেও বদনাম করা হবে, কারণ আমরা তাঁকেও ভয় করি। কেননা অত্যাচারীদের জেলে জন্ম নেওয়া শিশুদের আমরা যুগে যুগে দেখেছি, কিভাবে তাঁরা যুগ পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি ইতিহাসে তাঁরা অমর হয়ে আছেন। সফুরা আর ভয় দেখিও না, এইবার তো ভয় পাও?
Support Free & Independent Journalism