দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের টিকিটের ৮৫ শতাংশ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে যে ভিত্তিহীন দাবী করা হয়েছিল তা উন্মোচিত হল। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ট্রেনের টিকিটের খরচ বহন করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। এতে বিজেপির মুখোশ খুলে গেছে।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সম্পাদক শচীন সওয়ান্তের দাবী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল শীঘ্রই যেন জনগণের কাছে ক্ষমা চায়। শচীন সওয়ান্ত আরো জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের সব খরচ রাজ্য সরকার দিলেও বিজেপি নেতারা বারবার মিথ্যা প্রচার করে আসছে।
চন্দ্রকান্ত পাতিল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের টিকিটের মূল্য ৮৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র সরকার, বাকি ১৫ শতাংশ দিবে রাজ্য সরকার। ঠিক এমনটাও দাবি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও প্রকাশ জাভড়েকর। এ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে প্রশ্ন উঠলে তথ্য দিতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস বিজেপির রাজ্য সভাপতি পাতিলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অর্ডার পেপার দেখাতে বলেন। বিজেপি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি। বিজেপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও কঠোর দাবী জানান যে বিজেপিকে মিথ্যাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলতে হবে।
কেন্দ্র সরকারের তরফে আদালতের একটি বিবৃতিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, ট্রেনের টিকিটের মূল্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার দেবে গ্রহিতা রাজ্য সরকার খরচ বহন করবে। এর থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে মোদী সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক পয়সাও খরচ করেনি বরং তাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি উন্মোচন হয়েছে।
বিরোধী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিজেপি করোনা সংকটকালে ঘৃন্য রাজনীতি করছে। তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে রাজ্য সরকার প্রতিদিন ৮০ টা ট্রেন চায়, সেখানে ৪০ টা করে ট্রেন চালাচ্ছে। এমভিএ সরকার (মহা বিকাশ আগাড়ি) রেলমন্ত্রকের মুখোশ খুলে দিয়েছে। রেলকর্তৃপক্ষ নির্দিষ্টভাবে ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি বদলে অনেক ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে বিপদে ফেলতে এমনটা ঘটানো। বিজেপি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের যথেষ্ট ট্রেন দেয়নি ভাড়াও কমায়নি। টিকিটের মূল্য কমানোর পরিবর্তে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সওয়ান্ত আরও বলেন যে, বিজেপি সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের সাথে প্রতারনা করছে।