দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যেই বাংলায় বিজেপি এসেছে। মঙ্গলবার মেটিয়াবুরুজের বাদামতলার জনসভায় এমন দাবি করলেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেন, মমতা পুরো ঢপ দিচ্ছেন। বলেছিলেন ওয়াকফ সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। একটা জায়গাও ফেরত দেয়নি। বরং পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ওয়াকফ সম্পত্তির উপর বিজেপির পার্টি অফিস তৈরি করতে সাহায্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এ দিন তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করেছেন সিদ্দিকি । বলেন,’ববি হাকিম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল। পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে নষ্ট করে দিচ্ছে। ববি হাকিম বলেছিলো মেটিয়াবুরুজ মিনি পাকিস্তান। সেটা বলানো হয়েছে। যাতে ওঁর কথার উপর ভর করতে রাজ্যে বিজেপির ঘাঁটি করতে পারে। ২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ছিল না।’
রাজ্যে মমতার কল্যাণে বিজেপির রমরমা বেড়েছে বলে অভিযোগ করলেন সিদ্দিকি। তাঁর কথায়,’২০১১ সালের আগে বাংলায় কি বিজেপি ছিল? ছিল না। টিএমসি এল। তারপর এই বিজেপি আসল। তৃণমূলের যে যে নেতাগুলি ছিল, তাঁরা এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মেটিয়াবুরুজের প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল খালেদ মোল্লাও কিন্তু বিজেপিতে চলে যাবে। আজ রাজ্যে হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য়ে। এতদিন দুর্গাপুজো হয়েছে, মহরম হয়েছে। কোনদিনও বিভেদ ছিল না। আজ বিজেপি আসার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে দাঁড়িয়ে বলেছেন, যে গরু দুধ দেয় সেই গরুর লাথি খাওয়া ভালো। তার মানে মুসলিমরা গরু। মুসলিমদের ভোটের উপর নির্ভর করে রয়েছেন দিদি। তাই এবার লাথি না গুঁতিয়ে দেওয়ার দরকার আছে।’
সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘আজ সমস্ত মুসলিম ইমামদের ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু, ভাতার পিছনেও নিশ্চয়ই কোনও ফন্দি আছে। ইমামদের ঘরে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। এই মমতা রকারি ভাতা দেওয়ার পরেই কিন্তু হিন্দু মুসলিম এর সঙ্গে বিভাজন শুরু হয়েছে।’