Thursday, February 6, 2025
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

বারবার আবেদন, অবশেষে রাজ্যের বকেয়া টাকার ৪,১৩৫ কোটি থেকে ৪১৭.‌৭৫ কোটি দিল কেন্দ্র

ছবি : সংগৃহিত

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া টাকা নিয়ে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রের রাজ্যের সংঘাত হয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যের বকেয়া দিতে চাইছে না, এই অভিযোগ করে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই কেন্দ্রকে জানিয়েছে বকেয়া মেটানোর জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময়েও এই প্রাপ্য মেটানোর আবেদন জানান। আন্দোলনের সুফল মিলেছে। হাতে আসতে চলে কেন্দ্রের থেকে পাওনা টাকার একাংশ আসতে চলেছে। ছয়মাসের কিস্তিতে প্রতিমাসে গড়ে ৪১৭ কোটির একটু বেশি টাকা পাবে পশ্চিমবঙ্গ।

ইতিমধ্যে রাজস্ব ঘাটতি খাতে মোট ১৪টি রাজ্যকে ৬১৯৫.‌০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১৭.‌৭৫ কোটি টাকা। শুক্রবার সকালে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের কিছুটা সুরাহা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বহু বার কেন্দ্রের কাছে দরবার করার পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘‌জিএসটি খাতেই ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৪,১৩৫ কোটি টাকা পায়নি। কেন্দ্রের থেকে বাংলার মোট প্রাপ্য ৫৩ হাজার কোটি টাকা।’‌ এই ৪১৭ কোটি টাকায় যে রাজ্যের জল কোনওমতেই গরম হবে না তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

জিএসটির প্রাপ্য টাকা নিয়েও সংঘাতে জড়িয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য। করোনার জন্য কম জিএসটি আদায় হওয়ার পর, নির্মলা সীতারমণের পরামর্শ ছিল, রাজ্য গুলো প্রয়োজন কেন্দ্রের থেকে ধার করুক। এর বিরোধিতা করে বেশ কিছু রাজ্য। বকেয়া দেওয়া মধ্যে অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, তামিলনাডু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিম। এর মধ্যে সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে কেরলকে। তা হল ১২৭৬.‌৯২ কোটি টাকা।

এ রাজ্যে জিএসটির কাউন্সিলের অন্যতম পরমার্শ দাতা অমিত মিত্রের বক্তব্য ছিল, ‘কেন্দ্র ব্যাংক কাছ থেকে ধার করে রাজ্যের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিক। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যে গুলোর আবেদন মেনে তাদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কোভিড পরিস্থিতিতে রাজস্ব কম আদায়ের জন্য রাজ্যগুলিতে যে আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে তা কিছুটা পুষিয়ে দিতেই এই অর্থ মঞ্জুর করা হল।

Leave a Reply

error: Content is protected !!