দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে পাঞ্জাবেও বিধানসভা ভোট। তার আগে বড় রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হল পাঞ্জাবে। বিজেপির হাত ছেড়ে শিরোমনি অকালিদল হাত মেলাল বিএসপি-র সঙ্গে। একমাস আগেই দলিত উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শিরোমণি অকালিদল। এবারের ভোটে ছায়া ফেলবে মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন।
কৃষি আইন নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙেছিল শিরোমণি অকালি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর। তারপরেই পাঞ্জােব সঙ্গী খুঁজছিল অকালি দল। শেষ পর্যন্ত মায়বতীর সঙ্গেই হাত মেলালেন সুখবীর সিং বাদল। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই জোটের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সুখবীর সিং বাদল বলেছেন পাঞ্জাবের রাজনীতিক ইতিহাসে ঐতিহাসিক জোট হতে চলেছে এটি।
সুখবীর সিং বাদল মায়াবতীর দলের সঙ্গে হাত মেলানোর পরেই জানিয়েছেন পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে তাঁরা একজোট হয়ে লড়বেন। কোন কোন আসনে তাঁরা ভাগাভাগি করে লড়বেন সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। বিএসপি লড়বে জলন্ধরের কার্তারপুর সাহিবে, জলন্ধর পশ্চিম, জলন্ধর উত্তর, ফাগুয়ারা, হোসিয়ারপুর আর্বান, দৌসা, চামকুর সাহিব,বাসি পাথনা, পাঠানকোটের সুজনপুর, মোহালি, অমৃতসর উত্তর এবং অমৃতসর মধ্য। পাঞ্জাবেব ১১৭টি আসনের মধ্যে বিএসপি লড়বে ২০টি আসনে। আর শিরোমণি অকালিদল লড়বে ৯৭টি আসনে।
পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোটে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে মোদী সরকারের কৃষি আইন। স্যাড এই কৃষি আইনের প্রতিবাদেই বিজেপিক সঙ্গে জোট ছেড়েছিল। হরসিমরত কউর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ছেড়ে কৃষকদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন। এমনকী তাঁতে আটকও হতে হয়েছিল চণ্ডীগড়ে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাঞ্জাবে। এখনও কৃষকদের আন্দোলন জারি রয়েছে। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেই প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে বিএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে যখন শক্তি বাড়াচ্ছে শিরোমণি অকালি দল তখন আরেকদিকে ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। সিধুর সঙ্গে অমরিন্দর সিংয়ের দূরত্ব সমস্যার কারণ হতে পারে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। স্যাডের নতুন সমীকরণ চাপে ফেলবে অমরিন্দরদের এমনই মনে করছে রাজনৈিতক মহল।এদিকে আবার প্রশান্ত কিশোর অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।