নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : গত চার দিন ধরে দেশের রাজধানী দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় মদতে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালাচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত বিজেপি বিধায়ক কপিল মিশ্রর উষ্কানীমূলক সাম্প্রদায়িক হুমকির পর। এখনও পর্যন্ত একজন পুলিশ কর্মীসহ ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ১৫০ বেশি মানুষ আহত হয়েছে। মসজিদ, ঘরবাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় হল পুরো তাণ্ডব চালানো হয়েছে প্রকাশ্যে এবং পুলিশের সামনে। দিল্লি পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। গেরুয়া সন্ত্রাসের বিরোধিতায় আজ কলকাতার নন্দন চত্ত্বরে সাধারন পড়ুয়াদের ডাকে এক প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধনের ডাক দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ কলকাতার বহু কলেজের পড়ুয়ারা এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়। সমস্ত পড়ুয়ারা দিল্লির ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিয়েও তারা আওয়াজ তোলে। তাদের দাবি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বিজেপি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে এই প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করতে চাই। এদিন উপস্থিত ছিলেন, ফারুক আহমদ (প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়), সাইদ আল মামুন (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), ইমাম উদ্দিন (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়), মহঃ মুস্তাফা রেজা (প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়), রাহি মাসুম রেজা (আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়), আব্দুল আলীম (আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়) প্রমুখ।
এই প্রতিবাদ সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবি ঘোষণা করা হয় –
১) বিজেপি বিধায়ক কপিল মিশ্র সহ উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদানকারী সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।
২) অবিলম্বে হিংসার ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।
৩) মৃতদের পরিবারকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪) হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫) নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে নিরাপত্তা দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, বলিউড ও ক্রিকেটের সকল বাংলা খবর পড়তে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube ও জয়েন করুন WhatsApp Group এবং ডাউনলোড করুন আমাদের News Apps