Friday, November 22, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

সাঁকরাইলে ইটভাটা থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ! খুন করে পুঁতে রেখেছিল দুই সঙ্গী

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাঁকরাইল, ০৪ সেপ্টেম্বর: হাওড়া জেলার সারেঙ্গা এলাকায় বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এক নিখোঁজ যুবকের হত্যা রহস্যের কিনারা করল সাঁকরাইল থানা ও মানিকপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ইটভাটায় পুতে রাখা অবস্থায় জুন মাস থেকে নিখোঁজ থাকা যুবকের দেহ উদ্ধার হল। বাইক পাচার চক্রে আর কারা যুক্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাইক চুরির ভাগ না পেয়ে সঙ্গীকে খুন করে ইটভাটায় পুঁতে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার দুই। সাঁকরাইলের বাসিন্দা শেখ হাসানের দেহ উদ্ধার হল দীর্ঘ প্রায় আট মাস পর। অভিযুক্ত হাসানের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে মাটির নিচ থেকে তোলা হল হাসানের দেহাংশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছরের জানুয়ারি মাসে সাঁকরাইল এলাকা থেকে তিন জন যুবক মিলে একটি বাইক চুরি করে। চুরির বাইকটি হাসানের কাছেই রাখা ছিল। কয়েক দিন পর সেই বাইক বিক্রি করে তিনজনের সেই টাকার ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও হাসান তার দুই সঙ্গী ইসরাফিল ও মুন্নাকে টাকা না দিয়েই পুরো টাকাই সে আত্মসাৎ করে নেয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা এলাকারই শেখ হাসান নামে এক যুবকে খুন করে সারেঙ্গার একটি ইটভাটায় পুঁতে রেখেছে। এরপর ইটভাটায় গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়।

যদিও মৃতের দাদা, শেখ সামসেরের অভিযোগ, তাঁর ভাই পুলিশকে বাইক চুরির বিষয়ে খবর দিয়েছিল। সেই বশেই খুন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন দাদা সামসের। পুলিশে সূত্রে খবর, খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। বাইক পাচার চক্রে আর কারা যুক্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত মুন্না ও ইসরাফিলের দাবি, এর আগেও বেশ কয়েক বার তারা একসঙ্গে চুরি করলেও প্রতি বারই টাকা ভাগ করা হত৷ কিন্তু তাদের দাবি, হাসান এই বাইক বিক্রি করে তাদের মিথ্যে কথা বলে এবং নিজেই পুরো টাকা নিয়ে নেয়। সেই কারণেই তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়।

মুন্না ও ইসরাফিল দু’জন মিলে বদলা নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। সুযোগ বুঝে জানুয়ারি মাসের এক রাতে হাসানকে মদ খেতে ডাকে দুই সঙ্গী, এর পর তাকে গলা টিপে খুন করে সেই রাতে মাটি খুঁড়ে সেখানে পুঁতে দেয়। হাসানের পরিবার থানায় নিখোঁজের মামলা করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হাসানকে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল এই মুন্নার সঙ্গে। এর পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নার কাছে থেকে ইসরাফিলের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ধৃতদের হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে প্রথমে অপহরণ মামলা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে নতুন করে খুন ও দেহ লোপাটের মামলা রুজু করছে হাওড়া পুলিশ।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!