দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি আরবের প্রাক্তন এক নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আমেরিকার একটি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এ সম্পর্কিত কিছু নথিপত্র। আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুবরাজ সালমানসহ আরও নয়জন সৌদি কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি আদালত। আদালতের এই নোটিশ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আসামিদের কাছে পাঠানো হয়।
থমাস মাস্টার্স নামে একজন কম্পিউটার ফরেনসিক তদন্তকারী গত বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালতে দাখিল করা হলফনামায় নিশ্চিত করেছেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যুবরাজ সালমানের কাছে নোটিশটি পাঠানো হয়েছিল এবং ২০ মিনিট পর সেটি পঠিত হয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়। মামলায় সৌদির প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাদ আল-জাবরি অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৫০ জনের একটি ঘাতক দল কানাডায় পাঠিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে দলটিকে সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আল-জাবরির দাবি, তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কিছুদিন পরেই তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে খুন হন ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি সৌদি রাজপরিবারের অন্যতম সমালোচক ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলাম লেখকের হত্যাকাণ্ডে বিশ্বেজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় সৌদি আরব। কিন্তু গত মাসে তাদের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে ২০ বছর এবং আরও তিনজনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন সৌদির আদালত। আর এদিকে সিআইএ’সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা খাশোগি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে যুবরাজ সালমানের নাম বললেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দেখানো হয়নি।
সৌদি আরবও খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সালমানের সমপিক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরই মাঝে আবার সৌদি আরবের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা আল-জাবরির তাকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এনেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নামে।