দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের আগে থেকেই শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে বিজেপির। নানা ভাবে মহারাষ্ট্র সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। কয়েকদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বলেছেন খুব শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে বিজেপি। এর মধ্যেই উদ্ধব ঠাকরেকে লেখা রাজ্যপালের চিঠিতে ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ার। প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেব শরদ পাওয়ার। চিঠিতে শরদ পাওয়ার লিখেছেন এই ঘটনা অত্যন্ত বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে ধর্মীয়স্থানের দরজা খোলা নিয়ে রাজ্যপাল ভগত সিং কোশারিয়া চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। সেই চিঠির ভাষায় তিনি স্তম্ভিত এবং রীতিমত অবাক হয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে লিখেছেন।
করোনার কারণে এখনও ধর্মীয় স্থানের দরজা খোলার অনুমতি দেয়নি মহারাষ্ট্র সরকার। সেই চিঠিতে শিবসেনার হিন্দুত্বের নীতি নিয়ে খোঁচা দিয়ে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আপনি ভীষণভাবে যেখানে হিন্দুত্ববাদী। অযোধ্যায় গিয়ে শ্রীরামের প্রতি আপনার ভক্তি প্রকাশ্যেই দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও আপনি ভিত্তল রুক্মিনী মন্দিরে গিেয় পুজো দিয়ে এসেছেন। কিন্তু মন্দিরের দরজা না খুলে কী নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে প্রমাণ করতে চাইছেন। যে শব্দটিকে আপনি ঘৃণা করেন। ‘
রাজ্যপাল কোশারিয়ার চিঠির প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যপালকে। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, রাজ্যপালের কাছে আমাকে হিন্দুত্ববাদীর সার্টিফিকেট নিতে হবে। আমি এখনও আমার নীতি এবং আদর্শ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। মন্দিরের দরজা খোলার অনুমতি না দেওয়ার সঙ্গে ধর্ম নিরপেক্ষতার কোনও সম্পর্ক নেই।
রাজ্যপাল কোশারিয়ার লেখা চিঠির প্রবল প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। চিঠিতে রাজ্যপালের ভাষা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন শরদ। একজন রাজ্যপাল এই ধরনের কথা লিখতে পারেন তা দেখে আমি স্তম্ভিত বলে চিঠিতে লিখেছেন শরদ পাওয়ার। উদ্ধবকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল কোশারিয়া যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।