দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধনা করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন একটি মামলার প্রেক্ষিতে যে মন্তব্য করেছেন তা নজিরবিহীন।
কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে দেখেও নির্বাচন কমিশন যে ভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে জনসভা, রোড শো, বড় জমায়েত করার অনুমতি দিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিচারপতি। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “আপনার প্রতিষ্ঠান একা দায়ী কোভিডের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য। আপনাদের অফিসারদের খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা উচিত।”
রাজেশ টোপের কথায়, “কেন্দ্রের উচিত
আদালত এদিন স্পষ্ট করে বলেছে, নির্বাচনী প্রচারে মাস্ক পরা, ফেস শিল্ড পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মানার মতো কোভিড বিধি রক্ষা করানোর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনকে তা তারা পালন করতে পারেনি।
এখানেই থামেননি মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের কৌঁসুলীর উদ্দেশে তাঁর তির্যক প্রশ্ন, “যখন এত বড় বড় জমায়েত হচ্ছিল নির্বাচনী প্রচারের নামে, তখন কি আপনি অন্য গ্রহে ছিলেন?” আদালত কমিশনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে এদিন বলেছে, গণনা কেন্দ্রে যদি নির্বাচন কমিশন কোভিড বিধি না মানে, যদি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করে, তাহলে ২ মে গণনা প্রক্রিয়াই বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেবে আদালত।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে এও বলেছেন, “এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মানুষের বেঁচে থাকা। বাকি সব কিছু তার পর।” তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য সচিব, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেছে, গণনা কেন্দ্রে কোভিড প্রোটোকল বজায় রাখার ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা ৩০ এপ্রিল আদালতকে জানাতে হবে। ৩০ এপ্রিল ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।