দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সময় গড়াচ্ছে, তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে ঘটনার ঘনঘটা একইভাবে বর্তমান। ইতিমধ্যেই ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নাম পরিবর্তন করে বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী। অনেকেই মনে করছেন, এর মাধ্যমে সামাজিকীকরণ ঘটলো এই জুটির। অর্থাৎ এতদিন যা ছিল মনের বাসনা, এবার তা প্রকাশ্যে এলো। আমি থেকে ‘আমরা’ হলেন শোভন বৈশাখী জুটি।
একদিকে যখন নারদা মামলার উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, তখনও শোভনের ব্যক্তিগত জীবনে উত্তেজনার পারদ একটুও কমেনি। কারণ বুধবার সংবাদমাধ্যমে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তার স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি তিনি লিখে দিয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। শোভনের বিপদে-আপদে সবসময় পাশে ছিলেন বৈশাখী। এমনকি প্রেসিডেন্সি কারাগারের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সেই কান্নার দৃশ্য, হয়তো ভুলতে পারবেন না কেউই। হাসপাতালেও একইভাবে পাশে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার নিজের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির দায়িত্ব বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিলেন শোভন। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান, ‘‘আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির শুধু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নয়, সব কিছু লিখে দিয়েছি বৈশাখীকে। আমার অবর্তমানে নয়, এখন থেকেই সবকিছুর অধিকারিণী বৈশাখী।’’
অন্যদিকে আবার ঘটনার ঘনঘটা জারি রয়েছে প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরেও। কারণ জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে আপাতত বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে রয়েছেন শোভন তা আসলে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দাদা দেবাশীষ দাসের। কয়েক বছর আগেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে তার। এর আগেও রত্না জানিয়েছিলেন যে ফ্ল্যাটে আপাতত সংসার পেতেছেন শোভন বৈশাখী, তা আসলে শোভন বাবুর শ্যালকের। তাই সেখানে থাকার অধিকারী নন শোভন। এবার সেই মর্মেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট খালি করার আইনি নোটিশ জারি করল রত্নার পরিবার।
সব মিলিয়ে নারদ মামলা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনো ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে শোভন-বৈশাখী এবং রত্না। যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন দরকারি নথিপত্র সমর্থন রয়েছে তার কাছে, তাই ফ্ল্যাট খালি করার কোন প্রশ্নই উঠছে না।