নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা: বাবরি মসজিদ মামলায় সুবিচারের জন্য লড়াই জারি রাখার হুশিয়ারি দিল ভারতের সর্ববৃহৎ ইসলামী ছাত্র সংগঠন এসআইও। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সিবিআই আদালত সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার মাধ্যমে এই বর্বরোচিত এবং জঘন্য অপরাধকে চূড়ান্ত বৈধতার সিলমোহর প্রদান করল। আদালত এই রায়ের ক্ষেত্রে ন্যায়পূর্ণ এবং নিরপেক্ষতার ভাবনা স্পষ্টত বর্জন করেছে। এই রায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারন মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে।
এসআইও আরও জানায়, সিবিআই আদালতের এই রায় খুব দুঃখের কিন্তু কখনই আশ্চর্যের নয়। যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে চরম অবিচার অখ্যায়িত করেও ধ্বংসকারীদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের পুরস্কৃত করে, তখন একটি নিম্ন আদালতের এই সিদ্ধান্ত -আপাতদৃষ্টিতে কেউ বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেনি- কখনই আশ্চর্যপূর্ণ নয়।
সমগ্র বিশ্ববাসি সাক্ষী রয়েছে এবং ওয়াকিবহাল আছে, লালকৃষ্ণ আদবানি এবং তার দল শুধুমাত্র বাবরি মসজিদ ধ্বংসই করেনি বরং এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে এক ধর্মান্ধতা এবং ঘৃণার রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। এই সুগঠিত ধর্মান্ধতা এবং ঘৃণার প্রধান ফসল হল ভারতীয় রাজনীতিতে হিন্দুত্ববাদের উত্থান।
বর্তমানে যারা ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করছে এবং আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছে তাদের মনে রাখতে হবে যে, চরম ঘৃণা এবং অবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা নিজেদের জন্যই সর্ব বৃহৎ হুমকি। এই ক্ষমতা ঘৃণা শেষ হতে দেয়না বরং প্রত্যহ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন নতুন শত্রু তৈরি করে।
যারা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছে এবং সারা দেশে রক্তের স্রোত বহিয়েছে, তারা আজ মুক্তি পেয়ে গেলেও সারা বিশ্ব তাদের কৃতকর্মের সাক্ষী আছে। এই সমস্ত ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্তের উপর এক সর্বোচ্চ শক্তি রয়েছে যেখানে ন্যায় বিচার অবশ্যম্ভাবী। আমরা সেই সর্বশক্তিমানের উপরই বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং সুবিচারের জন্য আমাদের সমস্ত রকম আইনি ও বৈধ লড়াই জারি থাকবে।